হাঁসির বাক্স হিসেবে পাঠকদের কাছে ১০টি মজার কৌতুক পেশ করলাম। আসলেই এই কৌতুকগুলো হাঁসির বাক্স হিসেবে কাজ করবে। হাঁসি মানুষকে বিভিন্ন রোগ মুক্ত করতে সহায়তা করে। মানুষই একমাত্র জীব যার হাঁসির প্রয়োজন আছে। তবে অধিক হাঁসি আবার ক্ষতিকর। তাই হাঁসির বাক্স পরিমিত রেখে চলুন।
মনের না বলতে পারা কষ্টগুলো মানুষকে ব্যথা দেয় বেশি।
মানুষের ভাল গুণগুলোর একটি বিশেষ গুণ হলো হৃদয়ে হাজারো কষ্ট থাকা অবস্থায় মুখে সহজভাবে হাঁসে আর কাউকে সে বুঝতে দেয় না তার অন্তরের ব্যথা।
তাই মনের কষ্টকে কিছু সময়ের জন্য বিদায় জানিয়ে একটু হেঁসে নিতে কে না চায়?
আসুন একটু মন খোলে হাঁসি। কারণ আমাদের হাঁসির প্রয়োজন আছে।
এক
মেয়ের বাবা কবিরাজ। তাই বাবার কাছে মেয়ের আবদার।
মেয়ে: বাবা, আপনিতো মানুষদের তাবিজ- দোয়া করেন। আপনার জামাই আমার কোনো কথা শুনে না, গালাগালি করে, আমাকে সহ্য করতে পারে না, শারীরিক নির্যাতন করে। তাই ভাল দেখে এমন একটি তাবিজ দেন যেন সে আমার সাথে ভাল ব্যবহার করে।
বাবা: ছোট্ট একটি তাবিজ দিয়ে বললেন, এটা তোমার জিহবার নিচে রেখে দিবে।
কয়েক দিন পর মেয়ে বাবার বাড়ীতে এসে খুশিতে আহলাদ হয়ে বলল,
মেয়ে: বাবা তোমার তাবিজেতো ভাল কাজ করেছে। তোমার জামাই আমাকে আগের মতো গালাগালি করে না। বরং একেবারে শান্ত হয়ে গেছে।
বাবা বললেন: মাগো, এটা আমার তাবিজের গুণ নয়। এটা হল তোর মুখ বন্ধ রাখার ফল।
দুই
চায়ের আড্ডায় বসে থাকা তিন বন্ধুর একজন আমেরিকান, একজন বৃটেনের আর ৩য় জন বাংলাদেশের। তো গল্প করতে করতে আমেরিকার বন্ধু তার দেশের গৌরব দেখিয়ে বলল, জান, আমরা এমন এক জিনিস আবিষ্কার করেছি যেটা আকাশের উপর দিয়ে যায়। এটা শুনে বৃটেনের বন্ধু হতবাক হয়ে বলল, এটা কি করে সম্ভব?
আমেরিকান বন্ধুটি বলল, না মানে আকাশের উপর দিয়ে নয়, একটু নিচ দিয়ে।
এবার বৃটেনের বন্ধু তার বড়াই জাহির করার জন্য বলল, আমরা এমন জিনিস আবিষ্কার করেছি যেটা মাটির নিচ দিয়ে যায়। তাই শুনে বাংলাদেশি বন্ধু অবাক হয়ে প্রশ্ন করল, এটা কিভাবে সম্ভব?
উত্তরে বৃটেনের বন্ধু জবাব দিল, না মানে মাটির একটু উপর দিয়ে যায়, এই আর কি?
এবার বাংলাদেশি বন্ধু ভাবছে আমি কি বলল। আমরাতো একটা সুইও আবিষ্কার করতে পারিনি।
হঠাৎ সে বলে উঠল, জানেন আমরা নাকের ভিতর দিয়ে ভাত খাওয়া আবিষ্কার করেছি। এটা শুনে বাকী দুই বন্ধু অবাক হয়ে প্রশ্ন করল, এটা কিভাবে সম্ভব? উত্তরে বাংলাদেশি বন্ধু জবাব দিল, না মানে নাকের একটু নিচ দিয়ে আর কি!!!
তিন
এক বাংলাদেশি ঠিকাদার আমেরিকা গেল তার বন্ধুর বাড়ি। তার বন্ধু ছিল সেখানকার ঠিকাদার। বাংলাদেশি ঠিকাদার তার বন্ধুর অনেক সুন্দর বাড়িটি দেখে জিজ্ঞেস করলো-
বাংলাদেশি : বন্ধু এতো সুন্দর বাড়ি? কিভাবে বানালে?
আমেরিকান : ওই যে সামনে একটি ব্রিজ দেখছো?
বাংলাদেশি : হ্যাঁ।
আমেরিকান : ওইটার ১০% আমার পকেটে।
কিছুদিন পর আমেরিকান এলো বাংলাদেশির বাড়িতে। এসে তো পুরাই থ হয়ে গেলো এ তো তার বাড়ির চেয়ে সুন্দর। তাই বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলো-
আমেরিকান : এতো সুন্দর বাড়ি, কিভাবে বানালে?
বাংলাদেশি : ওইযে সামনে একটা ব্রিজ দেখছো?
আমেরিকান : কই না তো।
বাংলাদেশি : দেখবে কি করে এর পুরোটাইতো আমার পকেটে!!!
চার
একদিন এক কৃষকের বাড়িতে হানা দিলেন এক গোয়েন্দা। সহজ-সরল কৃষককে ধমক দিয়ে গোয়েন্দা বললেন, সরে দাঁড়াও, আজ তোমার বাড়িতে তল্লাশি করব! কৃষক বললেন, তল্লাশি করতে চান, করুন স্যার। কিন্তু দয়া করে বাড়ির উত্তর দিকের মাঠটাতে যাবেন না। গোয়েন্দা কৃষকের নাকের ডগায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে বললেন, এটা চেনো? এখানে আমার নাম লেখা আছে—
গোয়েন্দা ছক্কু মিঞা! এটা দেখলে যে কেউ ভয়ে কুঁকড়ে যায়! আর তুমি কিনা আমার কাজে বাধা দিতে চাও?
ঝাড়ি খেয়ে আর কিছু বললেন না কৃষক। কিছুক্ষণ পরই শোনা গেল, উত্তর দিকের মাঠ থেকে গোয়েন্দা ছক্কু মিঞার চিৎকার। বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও! কৃষক ছুটে গিয়ে দেখলেন, একটা ষাঁড় ছক্কু মিঞাকে তাড়া করছে। দূর
থেকে কৃষক বললেন,
”স্যার, ওকে আপনার
পরিচয়পত্রটা দেখান”
পাঁচ
স্বামী : আমি তোমাকে ভালবাসি।
স্ত্রী : আমিও তোমাকে ভালবাসি। আমি তোমাকে এতো ভালবাসি যে, তোমার জন্য পুরা দুনিয়ার সাথে লড়াই করতে পারি!
স্বামী : কিন্তু তুমি তো সারাক্ষণ আমার সঙ্গেই লড়াই করতে ব্যস্ত।
স্ত্রী : কারণ, আমার কাছে তুমিই হচ্ছে আমার পুরো দুনিয়া!
অনলাইনে ফ্রি ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
ছয়
সেলফোনে স্ত্রী স্বামীকে বলছে-
স্ত্রী : জানু কী করছ?
স্বামী : আর বলো না সুইটহার্ট। কাজের চাপে দম বের হওয়ার অবস্থা। তার ওপর বস ডাকছে জরুরি মিটিংয়ে। এদিকে কম্পিউটার ডিস্টার্ব দিতেছে, তিন মাসের রেকর্ড গায়েব। টেনশনে মগজ ফুটতেছে খইয়ের মতো। ওই দিকে ফরিদ আবার পরকীয়ায় জড়াইছে জানতে পাইরা ভাবি সুইসাইডের হুমকি দিছে। আচ্ছা বাদ দেও এইসব। তোমার খবর বলো? তুমি কোথায়, কী করতেছ?
স্ত্রী : আমি রেস্টুরেন্টে তোর পেছনের সিটে বসে বার্গার খাচ্ছি আর তোর সঙ্গে তোর নারী কলিগের খোশগল্প মোবাইলে ভিডিও করতেছি। চাপাবাজ, মিথ্যুক কোথাকার! আইজকা বাসায় আয় তোরে দেখাইতাছি মজা।
সাত
নান্টু ঠোঙা থেকে বের করে টসটসে পাকা জাম খাচ্ছে আর চোখ বন্ধ করে স্বাদ উপভোগ করছে। পিন্টু কাছে গিয়ে স্মার্ট ভঙ্গিতে বলল-
পিন্টু : দোস্ত, একলা একলা খাবি? আমারেও দে একটু টেস্ট করি!
নান্টু : এই নে।
পিন্টু : মাত্র একটা?
নান্টু : হ্যাঁ, বাকিগুলোর টেস্টও ওই একটার মতোই। জামের স্বাদ বুঝতে তোর মতো স্মার্ট ছেলের জন্য ওই একটাই যথেষ্ট। শুধু শুধু বেশি খেয়ে লাভ কী?
আট
স্বামী : আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে।
স্ত্রী : আমি আজকে ভীষণ অসুস্থ।
স্বামী : তাই নাকি! আমি আরও ভাবলাম, তোমাকে নিয়ে আজ কেএফসিতে বার্গার খাবো।
স্ত্রী : আরে বোকা, আমি তো দুষ্টুমি করছিলাম।
স্বামী : আরে পাগলি, তুমি কী মনে করেছো? আমি দুষ্টুমি করতে জানি না? যাও জলদি রুটি বানিয়ে ফেলো।
নয়
হাবলু : জ্যোতিষ বাবা, ক’দিন হলো ডান হাতটা খুব চুলকাচ্ছে। কিসের লক্ষণ বলুন তো?
জ্যোতিষী : হুম! তোর ওপর মঙ্গলের প্রভাব রয়েছে। তোর হাতে প্রচুর টাকা আসবে।
হাবলু : আমার বাঁ হাতের তালুও চুলকায়।
জ্যোতিষী : বলিস কী? তোর তো বিদেশ যাত্রা শুভ!
হাবলু : আমার ডান পা-টাও কিন্তু একটু একটু চুলকাচ্ছে।
জ্যোতিষী : দূর হ ব্যাটা, তোর চুলকানি আছে। ডাক্তার দেখা!
দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা শিখতে ভিজিট করুন
দশ
১ম বন্ধু : দোস্ত, আমার চোখ দুইটা মনে হয় আর কাজ করতাছে না। মনে হয়, চোখের মরণ ঘনাইয়া আসছে।
২য় বন্ধু : কেন কী হইছে?
১ম বন্ধু : আরে আজকাল চোখে কম দেখি।
২য় বন্ধু : কিভাবে বুঝলি?
১ম বন্ধু: আরে, তুই কয়দিন আগে আমারে একটা ফেসবুক আইডি খুলে দিছিলি না?
২য় বন্ধু : হ্যাঁ, দিছিলাম। তাতে কী হয়েছে?
১ম বন্ধু : ওইডার প্রোফাইল ফটো চেঞ্জ করছিলাম। দেখলাম ১৭টি লাইক। কিন্তু আমি লাইক দেওয়ার পরে দেখি ১৮টি আনলাইক।
হাঁসির বাক্স কৌতুক পর্বে অংশ নেয়াতে পাঠকদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
যোগাযোগ:
01716-386958