জীবন চলার পথে মানূষের নানা রকম দু:খ-কষ্ট অনুভূত হয়। হাজারো কষ্ট মানব মনে বাসা বাধে। এই দু:খ-কষ্ট দূর করে মানূষ মুক্ত মনে হাঁসতে চায়। তাই ফানি কৌতুক শোনা, পাঠ করা প্রয়োজন পড়ে। ফানি কৌতুক বাঙ্গালদের মনের খোরাক। ফানি কৌতুক আমাদের আনন্দকে বাড়ায়। কাজেই আসুন ফানি কৌতুক পড়ি আর নিজেকে কষ্ট মুক্ত করি।
আজকের কৌতুক পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
এক. কিপটে জামাই
এক ভদ্রলোক দাঁতের ডাক্তারকে ফোন করে জানতে চাইলেন দাঁত তোলার খরচ কত?
দাঁতের ডাক্তার: ৮৫০ টাকা লাগবে দাঁত তুলতে।
লোক: ৮৫০ টাকা? এ যে অনেক খরচ! এর চেয়ে সস্তায় করা যায় না ডাক্তার বাবু ?
দাঁতের ডাক্তার: এটাই নরমাল চার্জ।
লোক: আচ্ছা আপনি যদি অ্যানাস্থেসিয়া না করে দাঁত তোলেন?
দাঁতের ডাক্তার: এই রকম কেউ চায় না। তবে হ্যা, আপনি চাইলে তাও হবে, আর ৪০০ টাকা কম লাগবে এতে।
লোক: আচ্ছা। আর যদি দাঁতটি আপনি নিজে না তুলে আপনার কোনো ট্রেইনি ছাত্রকে দিয়ে তোলান, অ্যানাস্থেসিয়া ছাড়া, তাহলে চার্জ কি কিছু কমবে?
দাঁতের ডাক্তার: হবে। কিন্তু আমি এতে কোনোরকম দক্ষতার গ্যারান্টি দিতে পারবনা। আর পুরো ব্যাপারটা ভীষণ ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক হবে। তবে এতে আপনার মাত্র ১৫০ টাকা খরচ হবে।
লোক: ধরুন যদি আপনি পুরো সেশনটা শিক্ষামুলক করেন, মানে আপনার একজন ছাত্র দাঁত তুলবে, আর বাকি সব ছাত্ররা দেখবে, আর শিখবে, তাহলে কেমন হয়?
দাঁতের ডাক্তার: আমার ছাত্রদের পক্ষে তো এটা খুবই ভাল সুযোগ। সবসময় এরকম মহানুভব পেশেন্ট তো পাওয়া যায় না। এবং এই সুযোগ যদি সত্যি আপনি দেন, তালে আমি আপনাকে ২০০ টাকা দেব। তবে মাথায় রাখবেন পুরো ব্যাপারটাই কিন্তু চরম যন্ত্রনাদায়ক। ওটা সহ্য করতেই হবে।
লোক: বাহ্। তাহলে ওই কথাই থাকল। আপনি আগামীকাল আমার শ্বাশুড়ীর জন্য একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিন।
সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করার বিভিন্ন পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
দুই. সবচেয়ে বড় সমস্যা
স্ত্রী: আচ্ছা, তুমি সব সময় অফিসে যাওয়ার সময় ব্যাগে করে আমার ছবি নিয়ে যাও কেন?
স্বামী: অফিসে যখন আমি কোনো সমস্যায় পড়ি, তখন তোমার ছবিটি বের করে দেখলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, বুঝলে?
স্ত্রী: তাই নাকি! তাহলে দেখো, তোমার জন্য আমি কতটা সৌভাগ্যের!
স্বামী: আসল কথা হল- যখন আমার সমস্যা আসে, তখন তোমার ছবি বের করে দেখি আর নিজেকে বলি, তোমার চেয়ে তো বড় কোনো সমস্যা পৃথিবীতে থাকতে পারে না। আর সঙ্গে সঙ্গে ছোট সমস্যাগুলো আমার কাছে আর সমস্যা বলে মনে হয় না।
তিন. আমি মুর্খ নয়
রোগি : ডাক্তার সাহেব এই চশমা পড়লে কি আমি A B C D পড়তে পারবো ??
ডাক্তার: হ্যা, অবশ্যই দেখতে পারবেন।
রোগি : দেন তাইলে চশমা …… দেখি এই বার কে আমারে মুর্খ বলে।
চার. মাতালের বকশিস
তিন মাতাল একটা গাড়িতে উঠল ।
ড্রাইভার বুঝতে পারল যে তারা মাতাল, তাই সে গাড়ির ইঞ্জিল চালু করল ও কিছুক্ষণ পর বন্ধ করে ফেলল, এবং মাতালদের বলল……
তোমরা তোমাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছেগেছ, তিন মাতাল গাড়ি থেকে নামল,, তারপর তারা বললো……
১ম মাতালঃ ধন্যবাদ।
২য় মাতালঃ নিন, ১০০ টাকা বকশিস।
৩য় মাতালঃ ড্রাইভারকে একটা জোরে থাপ্পর দিল, ড্রাইভার মনে করল যে, এই মাতাল লোকটা বোধ হয় মাতাল ছিল না, সে সবকিছু বুঝতে পেরেছে।
তবুও সে ৩য় মাতালকে জিজ্ঞেস করল, থাপ্পর মারলেন কেন?
৩য় মাতালঃ শালা…. এত স্পীডে কি কেউ গাড়ি চালায় …।
পাঁচ. পুলিশকে ধমক
এক লোকের বাড়ি সার্চ করে পুলিশ জাল নোট
ছাপার মেশিন পেয়ে গেল। তাকে গ্রেফতার করতে গেলে সে পুলিশকে বলল- আমাকে গ্রেফতার করতে চান কেন? আমার কাছে তো একটাও জাল টাকার নোট পাননি। পুলিশ বলল- কিন্তু জাল নোট ছাপার যন্ত্রপাতি তো পেয়েছি।
লোকটি বলল- তাহলে একটি মেয়েকে রেপ করার দায়েও আমাকে গ্রেফতার করুন ।
পুলিশ বলল- আপনি কি কোন মেয়েকে রেপ করেছেন?
লোকটি বলল- না, কিন্তু রেপ করার যন্ত্রতো আমার
কাছে আছে!
অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত ও পরিমার্জিত