কৌতুক মনের কষ্টকে দূর করতে সহায়ক। আজকে পাঠকদের জন্য রয়েছে ১০টি মজার কৌতুক। এই ১০টি মজার কৌতুক পড়ে আনন্দ উপভোগ করুন। Point আকারে ১০টি মজার কৌতুক নিচে দেয়া হল।
এক
TNO সাহেব একটি হাইস্কুল পরিদর্শন করতে গিয়ে ৮ম শেণিতে ডুকলেন। বেঞ্চের ১ম সারিতে বসা এক ছাত্রকে প্রশ্ন করলে: বলতো দেখি sky অর্থ কি?
ছাত্র: জনাব, sky অর্থ আর্কাশ,
TNO সাহেব রেগে গিয়ে আরেক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন, বলতো দেখি Window অর্থ কি?
ছাত্র: জনাব, Window অর্থ বার্তাস,
TNO সাহেব আরো বেশি রেগে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলেন সাহেব ছাত্ররা এ কেমন জবাব দিচ্ছে?
প্রধান শিক্ষক সাহেব বললেন, এগুলো ওদের অর্ভ্যাস।
TNO সাহেব বিষয়টি বুঝতে পারলেন এবং বললেন, সার্বাস সার্বাস।
দুই
উচ্চ শিক্ষিত তিন বন্ধু জাহাজে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। এদের একজনের বাড়ি আমেরিকাতে, একজনের বাড়ি বৃটেনে আর একজনের বাড়ি বাংলাদেশে। তো নিজের বড়ত্ব জাহির করার জন্য আমেরিকার লোকটি তার গায়ের দামী জেকেটটি খুলে সাগরে ফেলে দিল। এটা দেখে বৃটেনের লোকটি হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল এতো দামী জিনিস আপনি পানেতে ফেলে দিলেন? আমেরিকার বন্ধুটি জবাবে বললো, এটা আমাদের দেশে অনেক আছে। এবার বৃটেনের লোকটি ভাবলো তাহলে আমারও কিছু পাওয়ার দেখানো দরকার। তাই সে কিছু সময় পর তার হাতে রাখা একটি দামী মদের বোতল পানিতে ফেলে দিল। এটা দেখে বাংলাদেশের লোকটি হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল এতো দামী মদ আপনি পানিতে ফেলে দিলেন? বৃটেনের বন্ধুটি জবাবে বললো, এটা আমাদের দেশে অনেক আছে। এ দু’জনের কান্ড দেশে বাংলাদেশী লোকটি কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। সে মনে মনে ভাবছে এই আমেরিকার লোকটাই আমার সমস্যা তৈরি করেছে। তাই সে হঠাৎ করে এই আমেরিকার লোকটিকে ধরে পানিতে ফেলে দিল। এটা দেখে বৃটিনের লোকটি চেচিয়ে জিজ্ঞেস করল এটা আপনি কি করলেন মশাই, একটি জলজ্যান্ত মানুষকে আপনি পানিতে ফেলে দিলেন? বাংলাদেশী বন্ধু হেঁসে জবাব দিল, এগুলো আমাদের দেশে অনেক আছে, এগুলোর কোনো অভাব নেই।
তিন
বল্টু : কারখানায় আগুন লেগেছিল, যারা ভেতরে ছিল সবাই মারা গেছে!!
স্ত্রী : আহারে, তা ক’জন মারা গেছে গো?
বল্টু : ১৫ জন। তবে মালিক বলেছে মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ করে টাকা দেবে!
স্ত্রী : তা তুমি বাঁচলে কিভাবে?
বল্টু : আমি যখন বিড়ি খেতে বাইরে গেছি, ঠিক তখনি আগুনটা লাগে!
স্ত্রী : এই জন্যই বলি, বিড়ি খাওয়া ক্ষতিকর! খেতে কত বারণ করি! দেখলে তো? গেল ১০ লাখ হাতছাড়া হয়ে।
চার
দাঁতের ডাক্তারের কাছে এক মেয়ে এসে বলল-
মেয়ে : ডাক্তার সাহেব, আপনি দাঁত তুলতে পারেন?
ডাক্তার : হ্যাঁ, পারি।
মেয়ে : তাহলে যে আমার সঙ্গে আমাদের বাড়ি যেতে হবে। আমার দাদির দাঁত তুলতে হবে।
ডাক্তার : তা যাওয়া যাবে। ফি কিন্তু ডাবল দিতে হবে।
মেয়ে : সেটা সমস্যা না, চলেন আমার আমার সঙ্গে।
ডাক্তার মেয়েটার বাড়ি গেল। সেখানে গিয়ে মেয়েটার দাদিকে বলল-
ডাক্তার : দেখি, আপনার কোন দাঁত তুলতে হবে?
দাদি : আমার সঙ্গে একটু কষ্ট করে পুকুরপাড়ে চলেন। পুকুরপাড়ে গিয়ে দাদি বললেন, আজ গোসল করতে গিয়ে
পুকুরে দাঁত পড়ে গেছে। আপনি কষ্ট করে তুলে দেন!
পাঁচ
একদিন বল্টু পল্টুর কাছ থেকে ৫০ টাকা ধার নিয়ে ক’দিন পরে ৬০ টাকা ফেরৎ দিল।
পল্টু : ৬০ টাকা কিসের জন্য?
বল্টু : মনে নেই? সেদিন যে ধার নিলাম।
পল্টু : আমি তো ৫০ টাকা দিয়েছিলাম।
বল্টু : হ্যাঁ। তোর ওই ৫০ টাকা বাচ্চা দিয়েছিলো। তাই ১০ টাকা বেশি দিলাম। কয়েক দিন পর…
বল্টু: দোস্ত আমাকে ৫০০ টাকা ধার দে, খুব দরকার। (পল্টু মনে মনে ভাবে ওর কাছে টাকাও বাচ্চা দেয়)
পল্টু : আরে শুধু ৫০০ টাকা কেন, তোর জন্য আমার যা আছে সব দিতে পারি। এই নে ৫০০ টাকা।
বল্টু : ধন্যবাদ দোস্ত, তোর মত লোকই হয় না। মাস খানেক পর…
পল্টু : কিরে দোস্ত, প্রায় এক মাস হলো, তুই যে আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিলি, তা তো ফেরৎ দিলি না?
বল্টু : দোস্ত কি আর বলবো দুঃখের কথা। ওই ৫০০ টাকা, বাচ্চা দিতে গিয়ে মারা গেছে!!!
neobux হতে দৈনিক ২ ডলার ইনকাম করার পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
ছয়
বল্টু যখন ছোট ছিল
শিক্ষক: “I Love you” কে আবিষ্কার করেছেন?
বল্টু : কোনো এক China কোম্পানি, স্যার।
শিক্ষক: কিভাবে বুঝলে?
বল্টু: এইটার কোনো গ্যারান্টি নেই + Qualityও নেই। টিকলে সারা জীবন টিকতে পারে, না টিকলে ২ দিনও টিকে না।
সাত
পোল্ট্রি ফার্মের তিন মালিককে পুলিশ ধরে নিয়ে আসল।
ইন্সপেক্টরঃ মুরগিকে কী খাবার দাও?
১ম মালিকঃ স্যার আমি মুরগিকে ভুষি খাওয়াই।
ইন্সপেক্টরঃ ভুল খাবার। একে অ্যারেস্ট করো।
২য় মালিকঃ আমি মুরগিকে চাল খাওয়াই স্যার।
ইন্সপেক্টরঃ তুমিও ভুল খাবার দাও। একেও অ্যারেস্ট করো।
বল্টু দেখল ঘোর বিপদ। তাই সে বলল, আমি তো সব মুরগির হাতে ১০ টাকা করে দিয়ে দেই স্যার, এরা নিজেরাই যার যা ইচ্ছা দোকান থেকে গিয়ে খেয়ে আসে।
আট
একদিন বল্টু বাড়ি ঢুকে বউকে চা দিতে বলল, বউ চা দিতেই বউকে ধরে পেটাতে লাগল সে। প্রতিবেশীরা মারের আওয়াজ শুনে ছুটে এসে জিজ্ঞেস করল, কি হয়েছে? মারছেন কেন ??
বল্টু : এই হারামজাদী আমার চায়ে তাবিজ মিশিয়েছে-আমাকে বস করবে বলে।
বউ : (কাঁদতে কাঁদতে) ওটা তাবিজ না, ওটা তো টি ব্যাগ ছিল।
নয়
বল্টু ও তার স্ত্রীর তুমুল ঝগড়ার পর
স্ত্রীঃ এবার কিন্তু আমি তোমাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হব !!!
বল্টুঃ এই, এই নাও চকলেট খাও।
স্ত্রীঃ থাক থাক, আর রাগ ভাঙাতে হবে না।
বল্টুঃ না রে পাগলি, মা বলেছে “শুভ কাজের আগে, একটু মিষ্টি মুখ করতে।”
দশ
স্ত্রী: এতক্ষণ ধরে ওই কাগজটিতে কী দেখছ তুমি?
স্বামী: কই, কিছু না তো!
স্ত্রী: আরে, এ যে দেখি ডাহা মিথ্যে কথা বলছ। তুমি প্রায় চার ঘণ্টা ধরে আমাদের কাবিননামা এত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছটা কী, শুনি?
স্বামী: না, তেমন কিছু নয়। অনেকক্ষণ ধরে খুঁজেও কেন জানি কাবিননামার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটা বের করতে পারলাম না।
এগার
ইতিহাস ক্লাশে স্যার নিশিকে দাঁড় করালেন, জিজ্ঞেস করলেন বলো তো, আকবর জন্মেছিলেন কবে?
নিশি : স্যার, এটা তো বইয়ে নেই!
স্যার : কে বলেছে বইয়ে নেই! এই যে আকবরের নামের পাশে লেখা আছে- ১৫৪২-১৬০৫।
নিশি : ও! ওটা জন্ম-মৃত্যুর তারিখ! আমি তো ভেবেছিলাম ওটা আকবরের ফোন নাম্বার। তাই তো বলি, এত্তোবার ট্রাই করলাম, রং নাম্বার বলে কেন?
দ্রব্যগুণের টোটকা যাদুবিদ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ভিজিট করুন
প্রতি শুক্রবার প্রকাশ হবে।