স্বাস্থ্য টিপস বাংলা পর্বে থাকছে শুক্রানু বাড়ানোর ১০টি খাবারের আলোচনা
আমরা সহজ বাংলা ভাষায় পাঠকদের কাছে স্বাস্থ্য বিধির দিক নির্দেশনা ও ব্যবহার বিধি তুলে ধবর কয়েক পর্বে। এই স্বাস্থ্য টিপস বাংলা পর্বে পাঠকদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের স্বাস্থ্য টিপস বাংলা পর্বে থাকছে শুক্রানু বাড়ানোর জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবহার।
শুক্রাণু বাড়াবে ১০ খাবার
সাধারণত সন্তান না হওয়ার পেছনে দায়ী করা হতো নারীদের। তবে দিন বদলেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন জানা গেছে, এই সমস্যার সঙ্গে শুধু নারীরা নয়, পুরুষরাও জড়িত। সাধারণত শুক্রাণুর কম ঘনত্ব, এর দুর্বল গতিশীলতা এবং শুক্রাণুর অস্বাভাবিকতা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু বিষয়—বিশেষ করে পরিবেশ, পুষ্টি এবং আর্থ-সামজিক কারণে পুরুষের শুক্রাণুর কার্যক্ষমতা কমে যায়। সুনির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা শুক্রাণুর মান এবং পরিমাণের উপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া দৈনন্দিন জীবনের চাপ, স্থূলতা, অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপান, জিংকের অভাব প্রভৃতিও পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী।
গবেষকরা বলেছেন, পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে খাবার একটা বড় ভূমিকা পালন করে। তাই কেবল ভারসাম্যপূর্ণ সঠিক খাবারই শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করতে পারে।
এ ক্ষেত্রে কোন কোন খাবারে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে তার একটি তালিকা দিয়েছে লাইফস্টাইলবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডট কম –
অনলাইনে ফ্রিতে neobux থেকে দৈনিক ২ ডলার ইনকামের পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
ডিম
পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানোর একটি ভালো বিকল্প হতে পারে ডিম। এতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ই, প্রোটিন বিদ্যমান থাকায় তা শুক্রাণুর মুক্ত মৌলগুলোকে রক্ষা করে। এর ফলে শুক্রাণু কমে যাওয়া প্রতিরোধ হয়। এ ছাড়া ডিমের পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদানগুলো শুক্রাণু শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যবান রাখতেও ভূমিকা রাখে।
পালংশাক
পালংশাকে ফলিক অ্যাসিড বিদ্যমান থাকায় তা শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। যখন মানুষের শরীরে ফলেটের মান কমে যায়, তখন শুক্রাণুর কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। এর ফলে শুক্রাণুগুলোর অস্বাভাবিকতার কারণে বন্ধ্যাত্বের হারও বেড়ে যায়।
কলা
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি১ এবং সি রয়েছে, যা স্বাস্থ্যবান শুক্রাণুর উৎপাদনে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে ব্রোমেলিন নামে এক ধরণের এনজাইম রয়েছে। প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফ্লামেটরি এই এনজাইম শুক্রাণুর সংখ্যা এবং সক্ষমতা দুটোই বাড়াতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকলেট
শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে ভূমিকা রাখে ডার্ক চকলেট। এতে বিদ্যমান অ্যামিনো অ্যাসিড শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। আবার উত্তেজনার উন্নতি ঘটাতেও কাজ করে ডার্ক চকলেট।
শতমূলী
ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় শতমূলী শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। আবার শুক্রাণুর গুণমান বাড়াতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে শতমূলী।
ব্রোকলি
ব্রোকলিতে ফলিক অ্যাসিড রয়েছে, যা পুরুষের যৌনক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ প্রতিদিন ব্রোকলি খান তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা প্রায় ৭০ ভাগ বেড়ে যায়।
ডালিম
শুক্রাণুর সংখ্যা এবং বীর্যের মানের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে ডালিম। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় তা রক্তের মুক্ত মৌলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আবার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যৌনক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে ডালিম।
আখরোট
আখরোট প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায়। একই সঙ্গে এটি অন্ডকোষে রক্তের প্রবাহ বাড়াতেও সাহায্য করে। আবার বীর্যের সংখ্যা বাড়াতেও আখরোটের জুড়ি মেলা ভার।
রসুন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একটি সুপরিচিত খাবার হলো রসুন। এতে বি৬ এবং সেলেনিয়াম বিদ্যমান থাকায় তা স্বাস্থ্যকর শুক্রাণুর উৎপাদনে সাহায্য করে। রসুনে রক্ত-পরিষ্কারক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অন্ডকোষে রক্তের প্রবাহকে বাড়াতে সাহায্য করে।
ঝিনুক
যৌনক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ঝিনুক। এতে উচ্চমাত্রার জিংক বিদ্যমান থাকায় তা স্বাস্থ্যকর শুক্রাণু উৎপাদন এবং এবং টেসটোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
বর্তমান আধুনিক যুগে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে ও শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বের হয়েছে। যেমন: আরগন বিডি ডটকম ”ই-গ্রীন/ E-Green” নামক ঔষধটি শুক্রাণু বাড়ায় যা অনেকটা পরিক্ষিত।
এমনকি যাদের সন্তানাদি নেই তাদেরকে nutric boispray ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যা ৯০% কার্যকর।
কিভাবে সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
যোগাযোগ
মো: নজরুল ইসলাম দুলু
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮