শেখ সাদী (রহ) ছিলেন একজন মুসলিম কবি ও দার্শনিক। আজকে পাঠকদের জন্য রয়েছে শেখ সাদী (রহ) সংক্ষিপ্ত জীবনী ও তাঁর বিখ্যাত ১৫টি উপদেশ যা থেকে আমরা অনেক ভাল কিছু শিক্ষা পাবো।
প্রকৃত নাম শরফুদ্দীন। ডাক নাম মসলেহ উদ্দীন। আর উপাধি বা খেতাব হচ্ছে সাদী, আসল নাম নয়। তিনি বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে আছেন উপাধি ‘সাদী’ নিয়ে। মানে শেখ সাদী নামে।
জানা যায় কবির বাবা তৎকালীন শিরাজের বাদশাহ আতাবক সাদ বিন জঙ্গীর সেক্রেটারি ছিলেন। কবি নিজে তুকলাবীন সাদ জঙ্গীর রাজত্বকালে কবিতা লিখতেন, এ কারণেই তিনি নিজের নামের সঙ্গে সাদী উপাধি যোগ করেন এবং পরবর্তীকালে শেখ সাদী নামেই পরিচিত হয়ে হন।
শেখ সাদীর জন্ম সালের ব্যাপারে যথেষ্ট মতভেদ আছে। তবুও মোটামুটি বলা যায় তিনি ৫৮০ হিজরী মোতাবেক ১১৮৪ খৃস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু তারিখ সবার মতে ৬৯১ হিজরী মোতাবেক ১২৯২ খৃস্টাব্দ।
অনলাইনে neobux থেকে একদম ফ্রিতে দৈনিক ২ ডলার ইনকাম করার পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
বাবার সাহচর্যেই শেখ সাদী শিশুকাল অতিক্রম করেন। তার দেখাদেখি সাদীও নামায, রোযা ও রাত্রিকালীন ইবাদতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। বাবার উৎসাহে কুরআন অধ্যয়নে তিনি যথেষ্ট সময় ব্যয় করেন। বলা যায় দরবেশ পিতার আদর্শেই আদর্শবান হয়ে গড়ে ওঠেন শেখ সাদী। তার কিছু উপদেশ বাণী যুগে যুগে প্রচলিত। তার মধ্যে ১৫টি উপদেশ পাঠকদের জন্য রইল-
শেখ সাদীর বিখ্যাত ১৫টি উপদেশ
১. অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।
২. অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।
৩. আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই, তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।
৪. কিছু মানুষ এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেঁচেই ছিল না।
৫. হিংস্র বাঘকে দয়া করা নিরীহ হরিণের ওপর জুলুম করার নামান্তর।
৬. যে সৎ, নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না।
৭. প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।
৮. দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারণ তুমি জান না, দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।
৯. মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।
১০. মন্দ লোকের সঙ্গে যার ওঠা বসা, সে কখনো কল্যাণের মুখ দেখবে না।
১১. দুই শত্রুর মধ্যে এমনভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।
১২. বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তোলে না।
১৩. ইহ-পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও।
১৪. কোনো কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না।
১৫. তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না- স্ত্রী লোক, জ্ঞানহীন মূর্খ ও শত্রু।
কিভাবে সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
মো: নজরুল ইসলাম
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮