বাংলা ছোট গল্প পড়তে কে না ভালবাসে। গুগলে বাংলা ছোট গল্প লিখে সার্চ দিলে অসংখ্য গল্প ভান্ডার পাওয়া যায়। অত্র লিখনীতে আপনাদের জন্য রয়েছে একটি মজার গল্প। পাঠক মহলে আশা করি এই মজার গল্পটি অবশ্যই আনন্দ দিবে।
তাবিজ সম্পর্কে মানুষের খুব বাড়াবাড়ি দেখা যায়। সবকিছুতেই তাবিজ নিয়ে বসে। ভাব দেখে মনে হয় শীঘ্রই এরা বিয়ে না করেও তাবিজের দ্বারা সন্তান লাভের চেষ্টা করবে। সবকিছুতেই তাবিজ চাইতে আসার ব্যাপারে একটি ঘটনা মনে পড়ল।
কাক ও পেঁচার উলুক যাদু সম্পর্কে জানতে চাইলে ভিজিট করুন
এক মদ বিক্রেতা হযরত শাহ্ আব্দুল কাদের (রঃ) এর কাছে এসে বলল, “হযরত! মদ বিক্রি হয় না, একটা তাবিজ দিয়ে দিন।” তিনি একটি তাবিজ লিখে দিলেন। ফলে খুব মদ বিক্রি শুরু হল। মাদ্রাসার ছাত্ররা সন্দেহ করে বলল যে, হযরত এটা কী করলেন? মদ বিক্রেতাকেও তাবিজ দিলেন! এটা দেখছি গুনাহ্ করতে সাহায্য করা হল। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি মদ বিক্রতাকে বললেন, “ভাই তাবিজটি নিয়ে এসো দেখি”! সে তাবিজ নিয়ে আসলে খুলে তিনি ছাত্রদেরকে দেখালেন। তাতে লিখা ছিল “আয় আল্লাহ্! মদ খাওয়া যাদের তকদীরে লিখা আছে তারা তো মদ খাবেই। সুতরাং এর দোকান থেকেই যেন খায়।”
সবাই লিখাটি দেখে অবাক! এসব বুযুর্গদের বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ হতে পারে? বস্তুতঃ মুহাক্কেক আলেমদের ভুল ধরাটাই ভুল।
(আল এফাযাতুল ইয়াউমিয়্যাহ্ খন্ড ৩,পৃষ্ঠা ২১৯।)
এই আর্টিকেল পাঠে আমরা জানতে পারলাম যে, বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী নিজে তাবিজ লিখতেন এবং এর মাধ্যমে মানুষের উপকার সাধিত হয়। হাকিমুল উম্মাত নামে খ্যাত উপমহাদেশের শ্রেষ্ট আলিম হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহ) নিজেও তাবিজের উপর একটি কিতাব লিখেছেন যার নাম ‘আমালে কোরআনী’। কাজেই কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে রোগের শিফা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ঝাঁড়ফুক বা আমল বা তদবির করা জায়েজ কাজ। তবে এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে কোন তাবিজ বা ফু শিফা করেনি বরং রোগের শিফা করেছেন স্বয়ং আল্লাহপাক। তাবিজ বা ঝাঁড়ফুক উছিলা মাত্র। আল্লাহু আয়’লাম।
আরো মজার মজার বাংলা ছোট গল্প পড়তে চাইলে ভিজিট করুন-
যোগাযোগ: মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮, nazruld@yahoo.com