আমরা আজ বৌ-শ্বাশুড়ী সংক্রান্ত একটি মজার গল্প শুনব। বর্তমান সময়ের সেরা ট্রপিক হল বৌ-শ্বাশুড়ী সমস্যা। সংসার জীবনে বউয়ের সাথে শ্বাশুরির এখন মিলে মিশে চলতে পারেন না বলেই চলে। অথচ বৌ-শ্বাশুড়ী সম্পর্ক আসলে একটি মধুর সম্পর্ক হওয়া চাই। নিচের বৌ-শ্বাশুড়ী সংক্রান্ত গল্পটি পড়লে তার কিছু দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
ডাক্তার সাহেবের একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন কয়েক মাস হল। মেয়ের স্বামী খুবই নরম মনের এবং ধার্মিক। মেয়েকে রেখেছে রানীর মতো করে।
একদিন মেয়ে তার বাবার বাড়ী এসে হাজির। বাবার কাছে নালিশ করে বলল- বাবা, এ তুমি কেমন ঘরে আমার বিয়ে দিয়েছো?
বাবা: কেন মা, কি হয়েছে, জামাই কি খারাপ ব্যবহার করছে?
মেয়ে: তোমার জামাইতো খুবই ভাল কিন্তু সেতো দুই মাস পর পর বাড়ি আসে। সমস্যার কারণ তো আমার শ্বাশুড়ী। সারাদিন শুধু বলে, বৌমা এটা করো, বৌমা ওটা করো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেবল খিঁট খিঁট করে যান। আমার একটুও ভালো লাগে না।
বাবা: মাগো, এই বয়সে মানুষ একটু এ রকমই করে। মেয়ে: না বাবা, ঐ বুড়ি যতদিন পর্যন্ত না মরছে, আমি আর ঐ বাড়িতে ফিরে যাবো না।
বাবা: এই রকম কথা বলতে নেই মা।
মেয়ে: তুমি তো ডাক্তার, এমন একটা কিছু ঔষধ দাও যাতে ঐ বুড়ি খুব তাড়াতাড়ি মরে যায়।
বাবা: আমি হলাম ডাক্তার, মৃত্যূদূত না। এ কাজ আমি কখনো করতে পারি না।
মেয়ে: বাবা তুমি কি চাও না তোমার মেয়ে সুখে সংসার করুক? বাবা একটু চিন্তায় পড়ে গেলেন। তিনি তার মেয়েকে বললেন,
বাবা: আমি যা যা জিজ্ঞেস করব, তুই কি তার সঠিক উত্তর দিবে?
মেয়ে: হ্যাঁ, সত্য ও সঠিক উত্তর দিব।
বাবা: তোর স্বামীর আচার- বহার কেমন?
মেয়ে: অত্যন্ত ভাল।
বাবা: তোর স্বামী মানুষ হিসেবে কেমন?
মেয়ে: খুবই উত্তম।
বাবা: তোর স্বামী কি তোর উপর কোনো অত্যাচার করে বা অন্যায়ভাবে কোনো নির্যাতন করে?
মেয়ে: অবশ্যই না। বাবা, আমি তোমাকে প্রথমেই বলেছি আমার স্বামীর কোনো সমস্যা নয়। আমার স্বামী জগতের সেরা স্বামী। আমি তাকে অনেক পছন্দ করি।
সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করার বিভিন্ন পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
বাবা: দেখ মা, তুমি যাকে পছন্দ করো সে কিন্তু মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছে তার মায়ের সেবা-যত্নে, মায়ের শিক্ষায়। তোর স্বামী যেহেতু ভাল, আমার মনে হয় তার মা অবশ্য ভালই হবে। তুই তোর স্বামীকে পছন্দ করছ আর নিজের স্বামীর মাকে কিভাবে অপছন্দ করতে পার? যাকে ভালবাসা যায় তার মাকে কখনো ঘৃনা করা যায় না। আমার মনে হয় তুই আরো একটু সচেতন হওয়া দরকার।
মেয়ে: আমি এতসব বুঝি না। আমি যা বলছি তুমি অবশ্যই তা করবে।
বাবা: (একটু চিন্তা করার পর)বললেন, ঠিক আছে মা, তোর মুখের দিকে তাকিয়ে আজ আমি এই কাজ করব, তোকে আমি একটা ঔষধ দিচ্ছি। এই ঔষধটা প্রতিদিন নিয়মিত দুই ফোটা করে গরম দুধের সাথে খাওয়াবি। দেখবি এক মাসের মধ্যেই তোর শ্বাশুড়ী মারা যাবে। তবে আমাকে কথা দে, এই এক মাস তুই তোর শ্বাশুড়ীর খুব সেবা-যত্ন করবি।
মেয়ে: ঠিক আছে বাবা, কথা দিলাম। মেয়ে ঔষধ নিয়ে আনন্দের সাথে শ্বশুড় বাড়ি চলে গেল। গিয়েই তার শ্বাশুড়ীকে মন দিয়ে সেবা করতে লাগলো আর নিয়মিত ঔষধ দিতে থাকলো।
পাঁচ দিন পর শ্বাশুড়ী লক্ষ্য করলেন যে, তার বৌমা আর আগের মত নেই। এখন সে আর তার কোনো কথার অবাধ্য হয় না। আগের মত আর তার উপর বিরক্ত হয় না। বরং খুব বেশি করে সেবা করছে। এভাবে ২০ দিন কেটে গেল, শ্বাশুড়ী আস্তে আস্তে বৌমাকে নিজের মেয়ের মত ভালবাসতে লাগলো। মাঝে-মধ্যে তিনি নিজে বৌমার জন্য স্পেশাল মেনু বানিয়ে খাওয়াতেন। বৌমার খোঁজ-খবর নিতেন। বৌমাকে আর আগের মত কাজের জন্য ধমকাতেন না। বরং প্রয়োজন হলে কাজটা নিজেই সেরে নিতেন। বৌমার ঘুম ভাঙার অপেক্ষা না করে নিজেই চা বানিয়ে বৌমার কাছে গিয়ে বৌমার ঘুম ভাঙিয়ে তার সামনে চায়ের কাপটা এগিয়ে দিয়ে বলতেন- বৌমা চা খাও, দেখো আমি তোমার জন্য বানিয়েছি।
বৌমা: কেন মা, আপনি আমাকে ডাকতে পারতেন তো।
শ্বাশুড়ী: কি যে বলো বৌমা, তুমি সারাদিন ধরে এত খেটে আমার সেবা করছো, সংসারের যাবতীয় কাজ করে যাচ্ছ আর আমি এইটুকু করতে পারবো না ?? এভাবে কেটে গেল ২৭ দিন। বৌ-শ্বাশুড়ীর মনের দুরত্ব কমে গিয়ে এখন তারা মা-মেয়ের মতো সম্পর্ক। তাদের দিন যায় মহা সুখে। ২৮তম দিন। মেয়েটি তার বাবার কাছে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এসে বলল- বাবা, তুমি আমার শ্বাশুড়ী মাকে বাঁচাও। আর মাত্র দুই দিন বাকি। আমি চাই না যে, আমার শ্বাশুড়ী আমাকে ছেড়ে চলে যাক। উনি যে ঠিক আমার মায়ের মত।
বাবা: চোখের জল মুছে ফেল মা। আমি জানতাম একদিন তুই তোর ভুল ঠিকই বুঝবি। তাই আমি তোকে কোনো বিষ দিইনি। ঐ ঔষধে তোর শ্বাশুড়ীর কোনো ক্ষতিতো হবেই না বরং ঐ ঔষধ খেলে শরীরের পুষ্টি যোগাবে। যা মা সুখের সংসার কর। মেয়েটি হাঁসি মুখে বাবাকে সালাম করে বললো- আই লাভ ইউ বাবা।
অনলাইনে ফ্রিতে ২ ডলার ইনকাম করার পদ্ধতি জানতে চাইলে ভিজিট করুন