মা বাবার ভালবাসা সম্পর্কে অনেকেই অনেক গল্প শুনে থাকি বা বলে থাকি।মা বাবার ভালবাসা অম্লান, নি:স্বার্থ ও পরিমাণহীন। পৃথিবীতে মা বাবার ভালবাসা তুলনাহীন। মা বাবার ভালবাসা দুনিয়ার সব মানুষের চেয়ে বেশি একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু আমরা অনেক সময় আমাদের অজান্তেই মা বাবাকে বহু কষ্ট দিয়ে ফেলি। অথচ আমরা যদি আমাদের মা বাবার ভালবাসা ঠিক মতো বুঝতে পারি তাহলে কখনো তাদেরকে কষ্ট দিতাম না। আজ মা বাবার ভালবাসা সম্পর্কীয় একটি গল্প শোনাব tkincome ডট কমের পাঠকদেরকে।
আব্বা আমার টাকা লাগবে, কত টাকা? ৫০০০ হাজার টাকা। কি করবি এত টাকা দিয়ে? ঈদের শপিং করবো। আব্বা আমার কথা শুনে আর কিছু না বলে, আমার হাতে ৫০০০ টাকা তুলে দিলো। টাকা গুলি পেয়ে তো আমার আনন্দের সিমা নেই। এবার মন খুঁলে শপিং করতে পারবো। খুশিতে লুঙ্গি ড্যান্স দিলাম। তারপর টাকাগুলো লুকিয়ে রেখে চলে আসলাম বন্ধুদের আড্ডাতে। সবাইকে তো বলতে হবে, এবার আমার ঈদের বাজেটটা কি হবে। সবার থেকে এবার আমার ঈদের বাজেট বেশি, বন্ধুরাও সবাই বাহবা দিলো। সন্ধার আগে বাসায় ফিরলাম, ইফতার করে নামাজ পড়ে আর বাইরে বের হলাম না। শুয়ে শুয়ে ফেসবুকে চ্যাট করছিলাম। এমন সময় পাশের রুম থেকে বাবা-মার চাপা কন্ঠ ভেসে আসলো কানে।
মা: ওগো শুনছো?
বাবা: হ্যাঁ বলো। তুমি রহিমকে সব টাকা দিয়ে দিলে এবার কি দিয়ে শপিং করবা আর ঈদের বাজারও তো করতে হবে, কিছুই তো করা হয়নি। ৫০০০ টাকাই ছিলো। ছেলের কথায় সেটাও বের করে দিলে।
বাবা: চিন্তা করো না, কারো কাছ থেকে ধার করে নিবো টাকা, আর রহিমতো এখন কলেজে উঠেছে বড় লোক ছেলেদের সাথে তাকে মিশতে হয়। তাদের মতন না হলে চলে।
মা: তাই বলে সব টাকা দিয়ে দিবা, এখন যদি টাকা না পাও তাহলে কি ঈদ আর চুলা বন্ধ করে রাখবো।
বাবা: তুমি অযথা চিন্তা করছো, কিছু একটা ঠিক ম্যানেজ করে নিবো, আর আমাদের তো সব কিছুই রহিমের জন্য। তো রহিমকে দিবনাতো কাকে দিবো বলো। আর রহিমতো আমাদেরই ছেলে, বড় হয়ে দেখবা আমাদের কষ্টটাকে ঠিকই মুছে দিবে। আব্বার মুখে কথাগুলো শুনে নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেললাম। নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছে আজ। শুধু নিজের ভালোর জন্য, বাবা-মাকে এতটা কষ্ট দেই আমি। যে বাবা-মা আমাকে এত ভালোবাসে তাদেরকে আমি এতদিন অবহেলা করে এসেছি, শুধু নিজের দিকটাই ভেবে এসেছি। ইচ্ছে করছে এখনই বাবাকে জড়িয়ে ধরে একটু কাঁদি কিন্তু বড় হয়ে গেছি, তাই কাঁদতেও পারছি না। সেদিন রাতটা কোনো রকমে কাটালাম। পরদিন সকাল হওয়ার সাথে সাথে বেরিয়ে পড়লাম কাজের সন্ধ্যানে। পরিকল্পনা করলাম এবার আমি আমার উপার্জনের টাকা দিয়ে আব্বা ও মাকে কাপড় কিনে দিবো। আর ঈদের যাবতীয় খরচাবলিও আমি নিজের কামাই করা টাকায় করবো। রোজা ছিলাম তাই মা খাওয়ার জন্য চিন্তা করতো না, রোজ সকালে বের হতাম আর বিকেলে ফিরতাম। বাড়ি ফিরলে মা একটু বকা দিতো কিন্তু আমি কিছু বলতাম না। কারণ তখন আমি দিন মজুরি খাটতাম। শুধু বাবা-মায়ের জন্য। টানা পনেরো দিন মজুরি খাটলাম। রাতে শুয়ে আছি, এমন সময় মা আসলো।
মা: রহিম তুই কাপড় কেনার জন্য টাকা নিলি কিন্তু কাপড় কিনলি না তো?
আমি: কিনবো মা এখনো তো ৪দিন সময় আছে।
মা: কই সময় আছে? ঈদ তো চলেই আসলো।
আমি: মা, তুমি আর বাবা কি কিনলে দেখালে না তো
মা: আমরা আর কিনে কি করবো বল বাবা, তুই কিনলেই আমাদের হবে। আচ্ছা ঘুমা, অনেক রাত হয়ে গেছে বলেই মা চলে গেলো। মনে মনে বললাম, মা তোমরা সত্যিই খুব স্বার্থপর, তবে সেটা নিজের ক্ষেত্রে না। আমাকে উজাড় করে দিতে। ঈদের আর মাত্র ৩দিন বাকি, দেখলাম ঈদের কাঁচা বাজারও কিছু কেনা হয়নি তাই মাকে বলে সকাল সকাল বের হয়ে গেলাম আমার মজুরির টাকা ৪০০০ আর বাবার দেয়া ৫০০০ টাকা নিয়ে। প্রথমে মায়ের জন্য একটা সুন্দর দেখে শাড়ি কিনলাম, বাবার জন্য লুঙ্গি-পাঞ্জাবি আর তারপরে আমার জন্য একটা পাঞ্জাবি আর প্যান্ট। এছাড়াও ঈদের টুকিটাকি বাজার করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে আসলো বুঝতেই পারলাম না। তাড়াতাড়ি বাসার দিকে রওনা হলাম। মা আমার হাতে এতগুলো ব্যাগ দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
মা: রহিম তুই কোথায় গেছিলি, বাবা?
আমি: সব বলবো আগে ঘরে চলো, আব্বা কই?
মা: ঘরেই আছে। আমি: চলো তাহলে মা: কি তোর ব্যাগে?
আমি: আছে কিছু আগে চলো তো। বাবা-মাকে বসালাম। এবার ব্যাগ থেকে প্রথমে শাড়িটা বের করে মায়ের গায়ে ঠেকিয়ে বললাম, মা দেখো তো কেমন লাগছে, খুব সুন্দর মানাবে তোমাকে। বাবা তোমার জন্যও আছে লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি ।
মা: রহিম এসব কোথায় পেলি?
আমি: মা তুমি না, শুধু প্রশ্ন করো। আগে বলো কেমন হয়েছে, কোনোদিন তো তোমাদের জন্য কিনি নাই। খারাপ হলেও কিছু করার নাই। এসব মুখ বুজে বাবা দেখছিলো। এবার বললো বাবা: রহিম এসব কোথায় থেকে আনলি এত কাপড় ঈদের বাজার টাকা কোথায় পেলি তুই।
আমি: আব্বা, তুমি রাগ করবা না তো।
বাবা: না বল।
আমি: আমি ১৫ দিন রফিক আংকেলের সাথে দিন মজুরের কাজ করেছিলাম, তার থেকে ৪০০০ টাকা পেয়েছি আর তাই দিয়ে তোমাদের জন্য সামান্য কিছু কিনে এনেছি। কথা গুলো শুনে বাবা রেগে গেলো। আমাকে একটা থাপ্পড়ও মারলো, খুব বড় হয়ে গেছিস তাই না, কে বলেছে তোকে রোজা মুখে কাজ করতে, আমি কি মরে গেছি। তুই কাজ করবি, জীবনে অনেক সময় পাবি তখন কাজ করিস এখন যদি আর কোনোদিন কাজ করিস তাহলে তখন আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না দেখে নিস। বলেই আব্বা রাগ করে চলে গেলো। ভেবেছিলাম আব্বা অনেক খুশি হবে কিন্তু আব্বা তো রেগে গেলো। মাও কোনো কথা না বলে চলে গেলো। সব কিছু অগুছালো অবস্থাতেই পড়ে রইলো। এশার নামাজ শেষ করে মন খারাপ করে শুয়ে আছি, এমন সময় আব্বা আসলো।
বাবা: রহিম, খেয়েছিস?
আমি: খাবো না, ক্ষুধা নেই।
বাবা: আয় খেতে আয়। আমি আব্বাকে খুব ভয় পাই তাই বেশি কিছু না বলে চলে আসলাম। কিছু না বলে মুখ বুজে খাবার খেয়ে আবার চলে আসলাম। রাত প্রায় ১১টা বাজে, দেখি আব্বা ও মা দুজনেই রুমে আসলো।
বাবা: কিরে আমার লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি দিবি না।
আমি: তাড়াতাড়ি করে উঠে ব্যাগ থেকে বার করে বাবার হাতে দিলাম। দেখি আব্বা কাঁদছে।
আমি: আব্বা আমি কি ভুল কিছু করে ফেলেছি।
বাবা: না রে বাবা তুই ভুল কিছু করিস নি, আজকে সত্যি আমার নিজেকে একজন বাবা হিসেবে গর্ভবোধ হচ্ছে যে, আমি তোর মতন একটা ছেলের বাবা। আজকে আমি অনেক খু্শি যে, আমার ছেলে প্রথম রোজকারের টাকা দিয়ে আমাদের জন্য ঈদের মার্কেট করেছে, সংসারের জন্য বাজার এনেছে। তুই তখন বলেছিলিস না যে, পছন্দ হইছে কিনা, সারা বাজার খুঁজলেও এগুলোর থেকে আর পছন্দের কিছু পাবি না। এগুলো আমার কাছে অনেক দামিরে। অনেক যত্ন করে রেখে দিবো। কারণ এগুলো যে আমার ছেলের প্রথম রোজকারের টাকায় কেনা। বলেই বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরলো। জীবনে এই প্রথম বড় হওয়ার পর আমি বাবার বুকে মাথা দিলাম। খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো যে, আমি আজকে দুনিয়ার সব থেকে বড় সুখি মানুষ, সব চেয়ে বড় বিজয়ী। সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম, আসলে বাবা-মা কি জিনিস। এদের কে খুশি করতে দামি কিছু লাগে না। এরা অল্পতেই খুশি যদি সেটা দেয়া হয় ভালোবাসার সংস্পর্শ দিয়ে। সুখে থাকুক এসব মানুষগুলি যারা সারাজীবন নেয়া থেকে দেয়াটাকেই নিজের খুশি বলে ধরে নেয়।
বাবা: হ্যাঁ বলো। তুমি রহিমকে সব টাকা দিয়ে দিলে এবার কি দিয়ে শপিং করবা আর ঈদের বাজারও তো করতে হবে, কিছুই তো করা হয়নি। ৫০০০ টাকাই ছিলো। ছেলের কথায় সেটাও বের করে দিলে।
বাবা: চিন্তা করো না, কারো কাছ থেকে ধার করে নিবো টাকা, আর রহিমতো এখন কলেজে উঠেছে বড় লোক ছেলেদের সাথে তাকে মিশতে হয়। তাদের মতন না হলে চলে।
মা: তাই বলে সব টাকা দিয়ে দিবা, এখন যদি টাকা না পাও তাহলে কি ঈদ আর চুলা বন্ধ করে রাখবো।
বাবা: তুমি অযথা চিন্তা করছো, কিছু একটা ঠিক ম্যানেজ করে নিবো, আর আমাদের তো সব কিছুই রহিমের জন্য। তো রহিমকে দিবনাতো কাকে দিবো বলো। আর রহিমতো আমাদেরই ছেলে, বড় হয়ে দেখবা আমাদের কষ্টটাকে ঠিকই মুছে দিবে। আব্বার মুখে কথাগুলো শুনে নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেললাম। নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছে আজ। শুধু নিজের ভালোর জন্য, বাবা-মাকে এতটা কষ্ট দেই আমি। যে বাবা-মা আমাকে এত ভালোবাসে তাদেরকে আমি এতদিন অবহেলা করে এসেছি, শুধু নিজের দিকটাই ভেবে এসেছি। ইচ্ছে করছে এখনই বাবাকে জড়িয়ে ধরে একটু কাঁদি কিন্তু বড় হয়ে গেছি, তাই কাঁদতেও পারছি না। সেদিন রাতটা কোনো রকমে কাটালাম। পরদিন সকাল হওয়ার সাথে সাথে বেরিয়ে পড়লাম কাজের সন্ধ্যানে। পরিকল্পনা করলাম এবার আমি আমার উপার্জনের টাকা দিয়ে আব্বা ও মাকে কাপড় কিনে দিবো। আর ঈদের যাবতীয় খরচাবলিও আমি নিজের কামাই করা টাকায় করবো। রোজা ছিলাম তাই মা খাওয়ার জন্য চিন্তা করতো না, রোজ সকালে বের হতাম আর বিকেলে ফিরতাম। বাড়ি ফিরলে মা একটু বকা দিতো কিন্তু আমি কিছু বলতাম না। কারণ তখন আমি দিন মজুরি খাটতাম। শুধু বাবা-মায়ের জন্য। টানা পনেরো দিন মজুরি খাটলাম। রাতে শুয়ে আছি, এমন সময় মা আসলো।
মা: রহিম তুই কাপড় কেনার জন্য টাকা নিলি কিন্তু কাপড় কিনলি না তো?
আমি: কিনবো মা এখনো তো ৪দিন সময় আছে।
মা: কই সময় আছে? ঈদ তো চলেই আসলো।
আমি: মা, তুমি আর বাবা কি কিনলে দেখালে না তো
মা: আমরা আর কিনে কি করবো বল বাবা, তুই কিনলেই আমাদের হবে। আচ্ছা ঘুমা, অনেক রাত হয়ে গেছে বলেই মা চলে গেলো। মনে মনে বললাম, মা তোমরা সত্যিই খুব স্বার্থপর, তবে সেটা নিজের ক্ষেত্রে না। আমাকে উজাড় করে দিতে। ঈদের আর মাত্র ৩দিন বাকি, দেখলাম ঈদের কাঁচা বাজারও কিছু কেনা হয়নি তাই মাকে বলে সকাল সকাল বের হয়ে গেলাম আমার মজুরির টাকা ৪০০০ আর বাবার দেয়া ৫০০০ টাকা নিয়ে। প্রথমে মায়ের জন্য একটা সুন্দর দেখে শাড়ি কিনলাম, বাবার জন্য লুঙ্গি-পাঞ্জাবি আর তারপরে আমার জন্য একটা পাঞ্জাবি আর প্যান্ট। এছাড়াও ঈদের টুকিটাকি বাজার করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে আসলো বুঝতেই পারলাম না। তাড়াতাড়ি বাসার দিকে রওনা হলাম। মা আমার হাতে এতগুলো ব্যাগ দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
মা: রহিম তুই কোথায় গেছিলি, বাবা?
আমি: সব বলবো আগে ঘরে চলো, আব্বা কই?
মা: ঘরেই আছে। আমি: চলো তাহলে মা: কি তোর ব্যাগে?
আমি: আছে কিছু আগে চলো তো। বাবা-মাকে বসালাম। এবার ব্যাগ থেকে প্রথমে শাড়িটা বের করে মায়ের গায়ে ঠেকিয়ে বললাম, মা দেখো তো কেমন লাগছে, খুব সুন্দর মানাবে তোমাকে। বাবা তোমার জন্যও আছে লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি ।
মা: রহিম এসব কোথায় পেলি?
আমি: মা তুমি না, শুধু প্রশ্ন করো। আগে বলো কেমন হয়েছে, কোনোদিন তো তোমাদের জন্য কিনি নাই। খারাপ হলেও কিছু করার নাই। এসব মুখ বুজে বাবা দেখছিলো। এবার বললো বাবা: রহিম এসব কোথায় থেকে আনলি এত কাপড় ঈদের বাজার টাকা কোথায় পেলি তুই।
আমি: আব্বা, তুমি রাগ করবা না তো। বাবা: না বল।
আমি: আমি ১৫ দিন রফিক আংকেলের সাথে দিন মজুরের কাজ করেছিলাম, তার থেকে ৪০০০ টাকা পেয়েছি আর তাই দিয়ে তোমাদের জন্য সামান্য কিছু কিনে এনেছি। কথা গুলো শুনে বাবা রেগে গেলো। আমাকে একটা থাপ্পড়ও মারলো, খুব বড় হয়ে গেছিস তাই না, কে বলেছে তোকে রোজা মুখে কাজ করতে, আমি কি মরে গেছি। তুই কাজ করবি, জীবনে অনেক সময় পাবি তখন কাজ করিস এখন যদি আর কোনোদিন কাজ করিস তাহলে তখন আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না দেখে নিস। বলেই আব্বা রাগ করে চলে গেলো। ভেবেছিলাম আব্বা অনেক খুশি হবে কিন্তু আব্বা তো রেগে গেলো। মাও কোনো কথা না বলে চলে গেলো। সব কিছু অগুছালো অবস্থাতেই পড়ে রইলো। এশার নামাজ শেষ করে মন খারাপ করে শুয়ে আছি, এমন সময় আব্বা আসলো।
অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
বাবা: রহিম, খেয়েছিস?
আমি: খাবো না, ক্ষুধা নেই।
বাবা: আয় খেতে আয়। আমি আব্বাকে খুব ভয় পাই তাই বেশি কিছু না বলে চলে আসলাম। কিছু না বলে মুখ বুজে খাবার খেয়ে আবার চলে আসলাম। রাত প্রায় ১১টা বাজে, দেখি আব্বা ও মা দুজনেই রুমে আসলো।
বাবা: কিরে আমার লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি দিবি না।
আমি: তাড়াতাড়ি করে উঠে ব্যাগ থেকে বার করে বাবার হাতে দিলাম। দেখি আব্বা কাঁদছে।
আমি: আব্বা আমি কি ভুল কিছু করে ফেলেছি।
বাবা: না রে বাবা তুই ভুল কিছু করিস নি, আজকে সত্যি আমার নিজেকে একজন বাবা হিসেবে গর্ভবোধ হচ্ছে যে, আমি তোর মতন একটা ছেলের বাবা। আজকে আমি অনেক খু্শি যে, আমার ছেলে প্রথম রোজকারের টাকা দিয়ে আমাদের জন্য ঈদের মার্কেট করেছে, সংসারের জন্য বাজার এনেছে। তুই তখন বলেছিলিস না যে, পছন্দ হইছে কিনা, সারা বাজার খুঁজলেও এগুলোর থেকে আর পছন্দের কিছু পাবি না। এগুলো আমার কাছে অনেক দামিরে। অনেক যত্ন করে রেখে দিবো। কারণ এগুলো যে আমার ছেলের প্রথম রোজকারের টাকায় কেনা। বলেই বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরলো। জীবনে এই প্রথম বড় হওয়ার পর আমি বাবার বুকে মাথা দিলাম। খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো যে, আমি আজকে দুনিয়ার সব থেকে বড় সুখি মানুষ, সব চেয়ে বড় বিজয়ী। সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম, আসলে বাবা-মা কি জিনিস। এদের কে খুশি করতে দামি কিছু লাগে না। এরা অল্পতেই খুশি যদি সেটা দেয়া হয় ভালোবাসার সংস্পর্শ দিয়ে। সুখে থাকুক এসব মানুষগুলি যারা সারাজীবন নেয়া থেকে দেয়াটাকেই নিজের খুশি বলে ধরে নেয়।
সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করার বিভিন্ন পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮