জীবন চলার পথে মানূষের নানা রকম দু:খ-কষ্ট অনুভূত হয়। হাজারো কষ্ট মানব মনে বাসা বাধে। এই দু:খ-কষ্ট দূর করে মানূষ মুক্ত মনে হাঁসতে চায়। তাই কৌতুক শোনা, পাঠ করা প্রয়োজন পড়ে। বাংলা কৌতুক বাঙ্গালদের মনের খোরাক। বাংলা কৌতুক আমাদের আনন্দকে বাড়ায়। কাজেই আসুন বাংলা কৌতুক পড়ি আর নিজেকে কষ্ট মুক্ত করি।
এক. এক বিহারীর ইন্টারভিউ
এক বাঙালি প্রার্থী পরীক্ষা ঘরে ঢুকেছে….
শিক্ষকঃ দিল্লী চলো কে ডাক দিয়েছিলেন?
বাঙালিঃ স্যার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস।
শিক্ষকঃ বাঃ বাঃ খুব ভালো, আচ্ছা একজন দেশপ্রেমিকের নাম বলুন তো ?
বাঙালিঃ স্যার অনেকেই তো আছেন, যেমন- মহাত্মা গান্ধী।
শিক্ষকঃ বাঃ বাঃ খুব সুন্দর, আচ্ছা বলুন তো ভারত কবে স্বাধীন হয়?
বাঙালিঃ স্যার, ভারত ১৯৪২ সালে স্বাধীন হবো হবো করতে করতে শেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীন হয়।
শিক্ষকঃ খুব সুন্দর ! আচ্ছা এবার লাস্ট প্রশ্ন,
বলুন তো আকাশে কত গুলো তারা আছে?
বাঙালিঃ স্যার এখনও সেটা প্রমানিত হয়নি তবে বিজ্ঞানিদের গবেষণা চলছে।
শিক্ষকঃ এবার আপনি আসতে পারেন l
বাঙালি চলে যাবার সময় পরের প্রতিযোগী
ছিল এক বিহারী। কিন্ত সে বাংলা জানেনা, তাই বাঙালিকে দরজার কাছে খুব তাড়াতাড়ি জিজ্ঞেস করলো- ভাই তোমাকে কি কি প্রশ্ন ধরলো?
বাঙালিঃ ভাই প্রশ্ন আমার মনে নেই, তবে উত্তর গুলো হল…..
১) নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস
২) অনেকেই তো আছে, যেমন মহাত্মা গান্ধী
৩) ১৯৪২ সালে হবো হবো করতে করতে শেষে ১৯৪৭ সালে ১৫ই আগস্ট
৪) ঠিক এখনও জানা যায়নি, বিজ্ঞানিদের গবেষণা চলছে।
বিহারির প্রবেশ …
শিক্ষকঃ আপনার নাম কি?
বিহারীঃ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস।
শিক্ষকঃ (অবাক হয়ে) আপনার বাবার নাম কি?
বিহারীঃ অনেকেই তো আছে, যেমন মহাত্মা গান্ধী।
শিক্ষকঃ (আরও অবাক হয়ে) আপনার কবে জন্ম হয়েছে?
বিহারীঃ ১৯৪২ সালে হবো হবো করতে করতে শেষে ১৯৪৭ সালে ১৫ই আগস্ট।
শিক্ষকঃ আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন?
বিহারীঃ ঠিক এখনও জানা যায়নি, তবে বিজ্ঞানীদের গবেষনা চলছে।
শিক্ষকঃ অজ্ঞান …।
সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করার বিভিন্ন পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
দুই. কৌশলে শাস্তি প্রদান
বাবা গোসলে, মা রান্না ঘরে আর ছেলে টিভি দেখছিল। এমন সময় দরজায় ঘণ্টা বাজল। ছেলে দৌড়ে গিয়ে দরজা
খুলে দেখল, পাশের বাসার করিম সাহেব দাঁড়িয়ে। ছেলে কিছু বলার আগেই করিম সাহেব বললেন, ‘আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দেব, যদি তুমি ১০ বার কান ধরে উঠবস কর।’
বুদ্ধিমান ছেলে অল্প কিছুক্ষণ চিন্তা করেই কান ধরে উঠবস শুরু করল, সে হিসেব করে দেখেছে প্রতিবার উঠবসে ৫০ টাকা। শেষ হতেই করিম সাহেব ৫০০ টাকার নোট ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
বাবা বাথরুম থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে ছিল দরজায়?’ ‘পাশের বাসার করিম সাহেব’, উত্তর দিল ছেলে। ‘ও’, বললেন বাবা, ‘আমার ৫০০ টাকা কি দিয়ে গেছেন?’
তিন. সবাই সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল
এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই পৌছে যায় ঠিক সময়ে। বসকে বললেন তার এক বন্ধু, তোমার কর্মচারীদের কি এমন যাদু করলে দোস্ত সবাই এত সময়ানুবর্তী হয়ে উঠল। বস হাঁসতে হাঁসতে বললেন, কোনো যাদু না দোস্ত, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম আছে। সারাদিন দাড়িয়ে থাকার ভয়ে সবাই সময়ের আগেই চলে আসে ।
চার. পাগলের কাছে পরাজয়
এক পাগল ডাক্তারকে প্রশ্ন করল:
পাগল:– ডাক্তার সাব, আপনি কতটুকু পড়েছেন?
ডাক্তার:– BA পড়েছি, কেন?
পাগল:– হ্যায় হ্যায় ! এতদিনে মাত্র ২ টা অক্ষর শিখেছেন, তাও আবার উল্টা।
পাঁচ. প্রেম করে ফকির
ভিক্ষুক ও পথিকের মধ্যে কথোপকথন:
ভিক্ষুক : দশটা টাকা ভিক্ষা দেন স্যার, চা খাব।
পথিক : চা তো পাঁচ টাকা। দশ টাকা চাও কেন?
ভিক্ষুক : বান্ধবীকে নিয়ে খাব স্যার।
পথিক : বাহ, ভিক্ষুক হয়ে আবার বান্ধবী বানিয়েছ!
ভিক্ষুক : না স্যার, বান্ধবীই আমাকে ভিক্ষুক বানিয়েছে!
অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
উৎস: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত ও পরিমার্জিত