মুরীদ করার পূর্বে পীরের পরীক্ষা কৌশল ছিল কঠিন। পীরের পরীক্ষা কৌশল বুঝতে না পারলে ফিরে যেতে হয় মুরীদ বেচারাকে। পীরের পরীক্ষা কৌশল বিষয়ক গল্পটি শুরু-
এক ব্যক্তি এক বুযুর্গের কাছে “ইসমে আযম” এর সন্ধান চেয়েছিল। বুযুর্গ ব্যক্তি জানতে পারলেন যে, লোকটির মধ্যে গোপনীয়তা রক্ষা করার শক্তি নাই। না জানি কাকে কাকে শিখিয়ে বেড়াবে। বা “ইসমে আযম” শিখে কি কি কান্ড করে বেড়াবে, কে জানে? তাই তিনি মনে করেন, সে এই বস্তুর উপযুক্ত নয়। লোকটি আরয করল- “হযরত! আমি কখনো আপনার হুকুমের খেলাফ করব না।
অনলাইনে neobux হতে ফ্রিতে ইনকাম করার পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
বুযুর্গের অত্যন্ত রসবোধ ছিল। তিনি বললেন, “আচ্ছা অপেক্ষা কর।” সে অপেক্ষা করল। কয়েকদিন পর তিনি দুইটি প্লেট একত্রিত করে ঢেঁকে এনে লোকটিকে দিলেন এবং বললেন, “অমুক মসজিদে এক বুযুর্গ থাকেন তাঁকে এটা দিয়ে এস। কিন্তু খবরদার! তুমি রাস্তায় তা খুলে দেখবে না।” লোকটি নিয়ে চলল। রাস্তায় বিষয়টি লোকটির মনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে দিল যে, এর মধ্যে এমন কী আছে? যদি বুযুর্গ একথা না বলতেন যে, খুলে দেখিও না, তবে মনে হয় এত উৎসাহ সৃষ্টি হত না। কিন্তু তাঁর একথা বলে দেয়াটাই সর্বনাশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকটি ভাবল, এর মধ্যে এমন কী জিনিষ আছে যে, খুলে দেখতে নিষেধ করেছেন? মনে হয় কোনো খাওয়ার জিনিষ আছে। আর মনে হয় তিনি এজন্যে নিষেধ করেছেন যেন খেয়ে না ফেলি। ঠিক আছে আমি খাবো না। সুতরাং একবার খুলে দেখা উচিৎ। এই ভেবে যেই প্লেট উঁচা করল আর অমনি তার ভিতর থেকে একটি ইঁদুর লাফিয়ে পড়ল এবং দৌঁড়ে পালাল।
এখন লোকটি ভারী পেরেশান হয়ে পড়ল। ইঁদুর এমন জিনিষ যে তাকে আর ধরা সম্ভব নয়। সুতরাং খালি প্লেট নিয়ে মসজিদের সেই বুযুর্গের কাছে গিয়ে হাজির হল এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। তিনি বললেন, “মনে হয় তুমি তাঁর কাছে কোনো কিছু আবেদন করেছিলে আর তিনি তোমার পরীক্ষা নিয়েছেন।” লোকটি বড় লজ্জিত হল এবং তার বুযুর্গের কাছে ফিরে আসল। শায়খ বললেন, “এখন আর তুমি আমার কাছে “ইসমে আযম” জানতে চেয়ো না। যখন তুমি সামান্য একটি জিনিষের হেফাজত করতে পারলা না তখন ইসমে আযমের মত এত বড় জিনিষের হেফাজতের আশা তোমার কাছে করা যায় না। আল এফাযাতুল ইয়াউমিয়্যাহ্; খন্ড ৭, পৃষ্ঠা- ১৩১-৩২)
দ্রব্যগুণ সম্পর্কীয় হাকিমী যাদুবিদ্যা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন