মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জারীকৃত পরিপত্র
এমপিও শীটে সকল শিক্ষক এর বিষয় উল্লেখ না থাকায় যে সব আবেদনকারীর এমপিও আবেদন বাতিল হয়েছিল তাদের ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি পরিপত্র জারী করা হয়েছে।
কিভাবে আবেদন করলে এমপিও আবেদন বাতিল হবে না এই মর্মে নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক একটি পরিপত্র জারি করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের এমপিও আবেদনে এমপিও শীটে সকল শিক্ষক এর বিষয় উল্লেখ না থাকায় যাদের এমপিও আবেদন বাতিল হয় তাদের এই সমস্যার সমাধানকল্পে একটি প্রক্রিয়ার উল্লেখ করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
এতে বলা হয় যে সকল প্রতিষ্ঠানের এমপিও কপিতে শিক্ষকদের বিষয় ও পদবি উল্লেখ নেই তারা এই পরিপত্রে বর্ণিত পদ্ধতি ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে।
সরাসরি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্রটি দেখতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন- লাল লেখার উপর ক্লিক করুন
ফেব্রুয়ারি মাসের এমপিও আবেদনে প্রার্থীদের আবেদন গণহারে রিজেক্ট করা হয়েছে মর্মে শক্ত অভিযোগ উঠেছে। একেবারে কারণ ছাড়াই অনেকের এমপিও ফাইল রিজেক্ট হয়েছে বলে দা ডেইলী ক্যামপাস, দৈনিক শিক্ষা নামক অনলাইন পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিভিন্ন কারণের মধ্যে রয়েছে-
১. প্রার্থীর বয়স ৩৫ এর বেশি হয়েগেছে। অথচ ৩৫+ প্লাসদের আবেদনের সুযোগ এনটিআরসিএ নিজেই মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রায়ের আলোকেই অনুমতি প্রদান করেছেন যা মাদ্রাসা অধিদপ্ততরের অজানা নয়।
২. এমপিও শীটে সকল শিক্ষকের বিষয় উল্লেখ না থাকায় প্রাপ্যতা স্পষ্ট নয় বিধায় নতুন এমপিও আবেদনটি বাতিল করা হলো।
৩. মহিলা কোটা মানা হয়নি। মূলত গ্রামাঞ্চলে মহিলা প্রার্থীর অভাব রয়েছে এটাও কর্তৃপক্ষের অজানা নয়।
৪. নিয়মিত কমিটি না থাকায় ডিসি/এডিসি/ইউএনও এর প্রতিস্বাক্ষর প্রয়োজন। অথচ নিয়মিত কমিটি থাকা সত্বেও আবেদন বাতিল হয়েছে বলে প্রমাণ রয়েছে।
৫. প্রথম এমপিও/ শেষ এমপিও কপি স্পষ্ট নয়। এভাবে হাজারো ত্রুটি দেখিয়ে আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার সহজ উদ্যোগ নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এজন্য প্রার্থীদের নির্ধারিত ছকে তথ্য পূরণ করে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়ালি স্ট্যাম্পসহ পাঠাতে বলা হয়েছে।
অথচ প্রার্থীরা এই নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে নির্ধারিত ছকে তথ্য পূরণের প্রক্রিয়াকে আরো একটি হয়রানির মাধ্যম মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন- আমাদের যোগদান থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে হয়রানির শেষ নেই। এমপিও আবেদনে পদে পদে জটিলতা তৈরি করা হয়েছে।
আমাদের বলা হয়ে থাকে দেশ গড়ার কারিগর। অথচ যেভাবে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীদের কি শেখাতে পারবো সেটি বুঝে উঠতে পারছি না। এভাবে ধাপে ধাপে সমস্যা সৃষ্টি হলে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়বে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।
বিজ্ঞপ্তিতে যা যা বলা হয়েছে
এনটিআরসিএর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণের লক্ষ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মেমিস সফটওয়্যারে আবেদন দাখিল করা হচ্ছে৷ অধিকাংশ মাদ্রাসার এমপিও শীটে সকল শিক্ষক নাম না থাকায় এমপিওভুক্তকরণে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এমপিওশীটে সকল শিক্ষক-কর্মচারীর পদ ও বিষয় উল্লেখ নেই। পদ ও বিষয় মুদ্রিত না থাকলে জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্রাপ্যতা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। ভুল/অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির ফলে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়। ফলে ভবিষ্যতে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
পরিপত্রটি ডাউনলোড করুন– পরিপত্র
অঙ্গিকারনামা ডাউনলোড করুন– অঙ্গিকারনামা