নতুন মজার শিক্ষামূলক গল্প আসরে পাঠকদের সবাইকে স্বাগতম। আজ পাঠকদের জন্য রয়েছে নতুন মজার শিক্ষামূলক গল্প। এই নতুন মজার শিক্ষামূলক গল্প পাঠে অবশ্যই নতুন কিছু জানতে পারবেন। কাজেই সাথে থাকার আমন্ত্রণ রইল।
মায়ের মমতা
আবুল বিয়ে করেছে বছর দেড়েক হয়েছে। এরই মধ্যে ঘর আলোকিত করে জন্ম নিয়েছে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। সন্তানের বয়স এখনো ৭ মাস পার হয়নি।
এক রাতের ঘটনা। গভীর রাত হয়ে এল। আবুলের চোখে কোনো একটা অজানা কারণে ঘুম আসছে না। আবুল আনমনে সারাদিনের ব্যস্ততার কথা স্বরণ করছে। আজ কতই না কর্মব্যস্ত দিন কাঠালাম। কষ্টে আর ক্লান্তিতে সারাদিন রীতিমতো আহার পর্যন্ত করতে পারিনি।
এমন সময় ভাবল, হ্যাঁয়রে! আজতো কেবল আমি একাই কাজ করিনি। সবেমাত্র শীতকাল এসেছে। কাজেই সন্তানকে দেখাশোনার পাশাপাশি স্ত্রী আমার কম্বল ধুঁয়েছে, শীতের সব কাপড় ধৌত করেছে, সমস্ত ঘর মুছেছে, পরিবারের ছোট-বড় কাজগুলোও করেছে। অথচ এখনো না ঘুমিয়ে আমার সেবা (হাত-পায়ে মালিশ) করছে। এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে টেরও পায়নি আবুল। ঘুম ভাঙ্গল ছোট বাচ্চার কান্না শোনে।
আবুল আজ বিরক্ত হয়ে উঠল বাচ্চার কান্নায় কারণ সে মাত্র আধ ঘন্টাও ঘুমাতে পারেনি। আবুল বলল, ওকে একটু থামাও …। মা তাড়াতাড়ি বিছানা ছেঁড়ে বাচ্চাটিকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে এদিক-ওদিক হাঁটতে লাগল।
কিছুক্ষন পর, আবুল বিছানা থেকে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। এবং অনেক সময় পরে আবুল ঘরে ফিরে এল। বাচ্চাটির মা তাকে জিজ্ঞেস করল, কোথায় গেছিলে তুমি? আবুল বলল, মায়ের কবরটা দেখতে গিয়েছিলাম।
বাচ্চাটির মা জিজ্ঞেস করল, এত রাতে কেন? সে উত্তর দিল, আমাদের বাচ্চাটি যখন কাঁদছিল তখন আমার খুব বিরক্ত লাগছিল। কিন্তূ তুমি ওকে কাঁধে নিয়ে আদর করতে করতে হাঁটতেছিলে। কারণ, তুমি ওর মা।
তখনি মনে পরে গেলো আমার দুখিনি মায়ের কথা। হয়তো, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার মাও আমাকে এভাবেই যত্ন করেছিলেন। তাই মাকে দেখতে গেছিলাম।
আজ মায়ের যত্নে এত বড় হয়েছি আমি। কিন্তু জানি না মা আমার সেখানে (কবরে) কতটুকু যত্নে আছেন। পৃথিবীতে মা-ই একমাত্র আপন যার কাছে মনের সকল দু:খ-আবেগের কথা নির্দিধায় শেয়ার করা যায়, যাকে বিশ্বাস করা যায়। আজ আমি মায়ের কষ্টের কথা অনুভব করতে পারলাম।
হে আল্লাহ্ আপনি আমাদের মা বাবার সেবা করার তৌফিক দান করুন। যাদের মা বাবা পৃথিবীতে নেই আল্লাহ যেন তাঁদেরকে জান্নাত বাসি করেন। (আমিন)
অনলাইনে ফ্রিতে ইনকাম করার পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
বাবার ভালবাসা
৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ পিতা ও তার পুত্র বাগানের একটা বেঞ্চে বসেছিল। হঠাৎ একটি কাক এসে গাছের ডালে বসলো। পিতা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, “এটা কি?” পুত্র বলল-“এটি একটি কাক। কয়েক মিনিট পর, পিতা আবার জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি? পুত্র বলল- আমি তো কেবলি বললাম এটা একটা কাক। একটু পর আবার পিতা জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি? এবার পুত্র অনেকটা বিরক্ত হয়েই কর্কশ গলায় বলল, এটা একটা কাক। এবার পিতা ৪র্থ বারের মত জিজ্ঞেস করলেন এটা কি? এবার পুত্র প্রচণ্ড রেগে গেল, রাগের চোটে কাঁপতে কাঁপতে চিৎকার করে পিতাকে ধমক দিয়ে বলল, তুমি কেন বার বার আমাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছ? আমি তো তোমাকে বহুবার বললাম, এটা একটা কাক। এটা একটা কাক, চোখ নেই তোমার, বুঝতে পার না?
বৃদ্ধ পিতা কোন কথা না বলে হেঁটে হেঁটে চলে গেলেন। একটু পর ফিরে এলেন একটা ডায়রি সাথে নিয়ে। তিনি তার পুত্রকে বললেন এটা পড়, মনোযোগ দিয়ে পড়বে। ডায়েরিতে লেখাছিল, “আজ আমি আমার ৩ বছর বয়সী ছেলের সাথে বাগানের বেঞ্চিতে বসেছিলাম। হটাৎ একটা কাক এসে বসলো। আমার ছেলে আমাকে ২৩বার জিজ্ঞেস করল “এটা কি।? আর আমি ২৩ বারই উত্তর দিলাম “এটা একটা কাক। “প্রতিবার উত্তর দেবার সময় তাকে গভীর ভালবাসায় জড়িয়ে ধরেছি এবং আমি একটুও বিরক্ত বোধ দেখাইনি আমার নিস্পাপ ছেলেটার প্রতি।” ডায়েরির এই অংশটুকু পুত্রের চোখের কোণে একবিন্দু জল এনে দিল। ডাযয়েরিটা বন্ধ করে গভীর ভালবাসায় তার পিতাকে জড়িয়ে ধরল। আর ধরা গলায় বলল Sorry Baba. আমিতো এতো গভীরভাবে কখনো চিন্তা করিনি, আমাকে ক্ষমা করে দেন।
বাবা বললেন তুমি হয়ত জান না, তোমার জন্মের পর প্রায় ১ বছর পর্যন্ত তোমার মা নিশ্চিন্তে ঘুমাননি। আমিও ভালভাবে ঘুমাতে পারিনি। তোমার জন্মই তোমার মায়ের শারিরীক সৌন্দয্যকে, শারিরীক লাবন্যকে মলিন করে দিয়েছিল এমন কি তার দেহের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গিয়েছিল কিন্তু তারপরও তোমার মা হাসিমুখ করে কাটিয়েছেন, সদা সর্বদা আনন্দ করেছেন। যেদিন তুমি সন্তান পাবে সেদিন আমাদের কথা অবশ্যই তোমার স্বরণে আসবে। আমার প্রশ্ন হল সেদিন কি আমরা জীবিত থাকব বলে তুমি মনে কর?
বুদ্ধিমান রাজা
কোনো এক সময় আরবের এক মরুভূমির পার্শ্বে একটি ছোট্ট রাজ্য ছিল। সেই রাজ্যটি চলত এক অদ্ভুত নিয়মে। প্রতি দশ বছর পর পর ওই রাজ্যে রাজা বদল হতো এবং প্রজাদের ভোটেই রাজার নির্বাচন সম্পন্ন হতো। নির্বাচিত রাজা তার দশ বছরের শাসনকালে যা ইচ্ছে করতে পারত। প্রজাদের কাছে তাকে কোনো জবাবদিহি করতে হতো না। তাকে প্রথম দিনই বলে
দেয়া হতো যে, তোমার এই দশ বছরের শাসনকালে তুমি সম্পূর্ণ স্বাধীন। যেমন
খুশি তেমন দেশ চালাতে পারবে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যত টাকা ইচ্ছা ব্যয় ও ভোগ করতে পারবে।
কিন্তু দশ বছর ফুরিয়ে গেলে তোমার ঠিকানা হবে পার্শ্ববর্তী মরুভূমির শুষ্ক প্রান্তর। সেখানে ছায়া নেই, পানি নেই এবং খাবার নেই। রোদে পুড়ে ক্ষুধা ও পিপাসায় ছটফট করে তোমাকে মরতে হবে। এসব কথা শুনেও যে ব্যক্তি রাজি হতো এবং যার ভেতরে শাসকসুলভ প্রয়োজনীয় যোগ্যতার পরিচয় পাওয়া যেত, তাকেই সিংহাসনে বসানো হতো।
রাজার অভিষেক হতো মহা ধুমধামে। আবার যেদিন তার দিন ফুরিয়ে যেত, সেদিনও তাকে হাত-পা বেঁধে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে রেখে আসা হতো মরুভূমির নির্দিষ্ট জায়গায় একই রকম
ধুমধামের সাথে। সেখানে তাকে একটা লোহার খুঁটিতে শিকল দিয়ে বেঁধে আসা হতো। তারপর অত্যন্ত কঠোর পাহারা বসানো হতো যাতে সে কখনো ছুটে লোকালয়ে আসতে না পারে এবং
লোকালয়ের কেউ গিয়ে তাকে খাবার- দাবার দিয়ে আসতে না পারে। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই নতুন রাজাকে একবার ওই বিরাণ জায়গাটা দেখিয়ে আনা হতো, যেখানে এর আগে বহু রাজা মারা গেছে এবং তাদের অনেকের কংকাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
এভাবেই শত শত বছর ধরে চলছিল ক্ষমতার পালাবদল। কিন্তু এক সময় দেশটিতে রাজার আকাল পড়ল। মেয়াদ ফুরানো রাজার করুণ পরিণতি দেখে ওই সিংহাসনটির ব্যাপারে এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল যে, কেউ আর এখন রাজা হতে চায় না। দশ বছর আরাম আয়েশে কাটানোর পর এমন ভয়ঙ্কর অপমৃত্যুর পথ কেউ যে বেছে নেবে না, এটাই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় প্রজারা বাধ্য হয়ে বিদেশি পর্যটকদের কাছে ধর্ণা দিতে লাগল সিংহাসনে বসার জন্য। কিন্তু শর্ত শুনে বিদেশিরাও রাজা হতে চাইল না।
অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একজনকে পাওয়া গেল। সে অত্যন্ত ধীরস্থির মস্তিষ্কে সব নিয়ম ও শর্ত জেনে সিংহাসনে বসতে রাজি হল। সিংহাসনে বসে প্রথমদিনই নতুন রাজা মনোযোগ দিল মরুভূমির যে জায়গাটিতে দশ বছর পর তাকে বসবাস করতে হবে, সে জায়গাটির উন্নয়নের দিকে। রাজা সিদ্ধান্ত নিল, যত টাকা লাগে লাগুক, প্রয়োজনে বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার ও কারিগর এনে সেখানে আরামদায়ক একটি বাড়ি বানাতে হবে।
যেই কথা সেই কাজ। রাজা বিদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার, কারিগর ও যন্ত্রপাতি আমদানি করল। তারপর কিছু বিশ্বস্ত লোককে কাজে লাগিয়ে সেই মরুভূমিতে শ্যামল শস্যক্ষেত ও ফলফুলে সুশোভিত বাগানে পরিণত করল। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে স্থানে পুকুর, খাল ও নিজের বসবাসের জন্য বিশাল এক প্রাসাদ নির্মাণ করল।
গোটা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সময় রাজা একটি কথা সব সময় মনে রেখেছিল। কথাটি হল, নির্দিষ্ট দশ বছরের শাসনকালে তার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে এবং রাজ্যের সমস্ত ধনভাণ্ডার ও জনশক্তি তার নিয়ন্ত্রণাধীন। এগুলোকে ব্যবহার করে সে ইচ্ছা করলে তা দশ বছরের শাসনকাল ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে কাটিয়ে দিতে পারে। আবার ইচ্ছে করলে ওই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ওই মেয়াদকালে কিংবা তার পরবর্তী সময় এই দুটো সময়কেই
আরামদায়ক বানাতে পারে। নতুন রাজা এই দ্বিতীয় চিন্তাটাই বাস্তবায়ন করল যা তার আগের রাজাদের মাথায়ই আসেনি। যাই হোক, দেখতে দেখতে রাজা তার দশ বছরের শাসন পূর্ণ করল। দেশের মানুষ তার শাসনকালে অত্যন্ত সুখী ছিল এবং অনেকেই তাকে আরো একটি মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় রাখতে আগ্রহী ছিল। কিন্তু দেশের নিয়মকানুন ছিল অলংঘনীয়।
তাই মেয়াদ পূর্তি হতে নিয়ম অনুযায়ী রাজধানীতে বিশাল জনসমাগম হল। সবাই মিছিল
সহকারে রাজাকে সেই মরুভূমিতে নিয়ে চলল। এ সময় একটা ব্যাপার দেখে সবাই
বিস্মিত হয়ে গেল, যা আগের কোনো রাজার বেলায় দেখা যায়নি। ব্যাপারটা হল, এই রাজা মিছিলকারীদের সঙ্গে মরুভূমিতে যাওয়ার সময় এমন আমোদ- ফূর্তি করে যাচ্ছিল যা সত্যিই অভাবনীয়। কেননা এর আগে প্রত্যেক রাজাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মরুভূমিতে নেয়া হতো। কেউ
স্বেচ্ছায় যেতে চাইত না। কিন্তু এই বিদেশি রাজা মিছিলকারীদের সঙ্গে হাসতে হাসতে মরুভূমির দিকে এগিয়ে গেল!
যখন মিছিলটি মরুভূমির কাছে গিয়ে পৌঁছল তখন সবার চক্ষু ছানাবড়া হয়ে গেল! ধূ ধূ প্রান্তরের পরিবর্তে সেখানে তারা একটা সুন্দর বাগান ও নয়নাভিরাম প্রাসাদ
দেখতে পেল। সবাই অবাক হয়ে রাজাকে জিজ্ঞেস করল- এসব কোত্থেকে এল? রাজা জবাব দিল, ‘আমি আমার রাজত্বের পরবর্তী সময়ের কথা ভুলে যাইনি। তাই রাজ্য শাসনকালে এসব তৈরি করে রেখেছি।’ রাজার কথা শুনে প্রজাদের মুখে হাসি দেখা গেল। কারণ তারা চাচ্ছিল এ রাজাই বাকি সময় দেশ চালাক। কিন্তু কঠিন নিয়মের কারণে তারা এ কথা মুখেও আনতে
পারছিল না। অবশেষে রাজার বুদ্ধিতে তাদের মনের আশা পূরণ হল আর রাজাও করুণ
মৃত্যু থেকে রেহাই পেল।
দ্রব্যগুণ ব্যবহার করে যাদু বা টোটকা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন
কাজের বিল
একদা বড় এক জাহাজে মারাত্বক যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। মেরামতের জন্য জাহাজের মালিক দেশের সমস্ত বিশেষজ্ঞ ইঞ্ছিনিয়ারকে হায়ার করেন। কিন্তু জাহাজের বিষয়টি ছিল অনেক ক্রিটিক্যাল। তাই দেশের কেউ পারলেন না জাহাজের ত্রুটি সারিয়ে দিতে। তারপর বিদেশ থেকেও বেশ কয়েক জনকে অনুরোধ করে আনলেন। তারাও ব্যর্থ হলেন।
এরপর জাহাজের মালিক এক বৃদ্ধ ইঞ্ছিনিয়ারের সংবাদ পেলেন। যিনি বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে নিয়েছেন তার ইঞ্ছিনিয়ারিং কাজের জন্য। মালিক আর বিলম্ব না করে বৃদ্ধ ইঞ্ছিনিয়ারকে নিয়ে আসলেন। তাকে অনেক আদর-সমাদর করলেন এবং মালিক নিজে বৃদ্ধের সাথে কাজে অংশ নিলেন।
বৃদ্ধ তার যন্ত্রপাতির বাক্স বের করলেন এবং জাহাজের ইঞ্ছিনের প্রতিটি পার্ট অতি মনযোগের সাথে অবলোকন করতে লাগলেন। অবশেষে সমস্যাটি কোথায় তা তিনি বুঝতে সক্ষম হলেন। তারপর যন্ত্রপাতির বাক্স বের করে একটি ছোট্ট হাতুড়ি বের করে ধীরে সুস্থে ইঞ্জিনের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় হাতুড়ি দিয়ে কয়েকটা আঘাত করিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিনটি সচল হয়ে উঠল।
মজার ব্যাপার হল, জাহাজের মালিক বৃদ্ধের সাথে সারাক্ষন লেগে থেকে বোঝার চেষ্টা করছিল যে কিভাবে বৃদ্ধ জাহাজটি মেরামত করে।
কাজ শেষে বৃদ্ধ তার হাতুড়িটি রেখে দিলেন এবং নিজ দেশে ফেরত চলে গেলেন।
কিছুদিন পর বৃদ্ধের নিজ হাতে লেখা একটি কাগজ আসল যাতে লিখা ছিল কাজের বিল ১ লক্ষ টাকা। এটা দেখে মালিকতো অবাক। মালিক মনে মনে ভাবল এই সামান্য একটি হাতুড়ির আঘাত করে ১ লক্ষ টাকা বিল কিভাবে দেই?
তাই সে কাগজ ফেরত পাঠাল আর অনুরোধ করে বলল, “দয়া করে তালিকাবদ্ধভাবে বিলের একটি মেমো প্রদান করুন।”
বৃদ্ধের বিল:
হাতুড়ির আঘাতের জন্য বিল ২০০ টাকা।
কোথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত দিতে হবে সেটা জানার জন্য বিল ৯৯,৮০০ টাকা।
মোট বিল- ১০০০০০ (এক লক্ষ) টাকা।
(stories are collected and edited)