নতুন ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে সারা দেশে মত বিরোধের সৃষ্টি
নতুন ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে সারা দেশে মত বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের আকাশে সন্ধ্যা ৯টার আগে নতুন ঈদের চাঁদ দেখা যায়নি। পরে নতুন ঈদের চাঁদ দেখা হয়েছে মর্মে যে সকল সংবাদ বের হয় তা নিয়ে সারা দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত রাত ১১.২৮ মিনিটের সংবাদ
১৪৪০ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। বুধবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ রাত সোয়া ১১টার দিকে ব্রিফিং করে এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পর জানানো হয় দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। তাই বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করার বিভিন্ন পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
প্রথম আলো দৈনিক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক টাকা থেকে সন্ধ্যা ৮.৫৮ তে চাঁদ দেখা যায়নি বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া হয়। এই সংবাদের শিরোনাম ছিল- চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বৃহস্পতিবার।
সেই সাথে এও ঘোষনা দেয়া হয় যে, ১৪৪০ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেশের কোথাও দেখা যায়নি। আগামী বৃহস্পতিবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
এর ঘণ্টা দুয়েক পরে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি শেখ মো. আবদুল্লাহ।
এখন এ ব্যাপারে ইসলাস কি বলে তা জানা অতিব জরুরি। নিচে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হল-
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আম্মার (রাঃ) বর্ণিত আছে, যে বাক্তি সন্দেহের দিনে (অর্থাৎ ২৯শে শা’বান চাঁদ দেখার কোন প্রমান না থাকা সত্তেও শুধু সম্ভবনা সুত্রে ) রমজানের রোজা রাখিবে, সে রসূলুল্লাহ (সঃ) অবাধ্য গণ্য হইবে।
হাদিস নং- উল্লেখ নেই বুখারী শরীফে এভাবে উল্লেখ আছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণিত আছে, একদা রসুলুল্লাহ (সঃ) রমজানের আলোচনা করতঃ বলিলেন, যতক্ষন পর্যন্ত (রমজানের) চাঁদ দেখা (প্রমানিত) না হয় ততক্ষন পর্যন্ত রোজা রাখিও না। তদ্রুপ যতক্ষন পর্যন্ত (শাওয়ালের) চাঁদ দেখা (প্রমানিত) না হয় ততক্ষন পর্যন্ত রোজা পরিত্যাগ করিও না। যদি নতুন চাঁদ প্রকাশিত না হয় তবে (রোজা রাখা না রাখার ব্যাপারে ত্রিশ দিনের মাসের) হিসার গ্রহন করতে হবে।
বুখারী, হাদিস নং-৯৭৯।
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সঃ) বলিয়াছেন, কোন কোন মাস উনত্রিশ দিনেও হইয়া থাকে, কিন্তু (শাবানের উনত্রিশ তারিখে) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রাখিও না। যদি (সেই দিন) চাঁদ প্রকাশ না হয় তবে ত্রিশ দিনের গণনা পূর্ণ করতে হবে।
বুখারী, হাদিস নং-৯৮০।
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রসুলুল্লাহ (সঃ) বলিয়াছেন, রোজার মাস কোন কোন সময় উনত্রিশ দিনেও হয় এবং এইরূপ ইশারা করিয়া দেখাইয়াছেন- উভয় হাতের আঙুল সমূহ উন্মুক্ত করিয়া তিনবার দেখাইয়াছেন, কিন্তু তৃ্তীয় একটি আঙুল আবদ্ধ রাখিয়াছেন।
বুখারী, হাদিস নং-৯৮১।
এখন আমাদের সাধারণ জনগণের প্রশ্ন হল বাংলাদেশে কেউ চাঁদ দেখেন নাই। তাহলে চাঁদ না দেখে কিভাবে, কোন যুক্তিতে বা কোন ইসলামী মাসলা প্রয়োগ করে আমরা রোজা পরিত্যাগ করতে পারি?
এমন কেউ কি আছেন যিনি বলতে পারবেন যে, আমি নিজ চোখে চাঁদ দেখেছি? যদি এরকম ২/৩ জন মুসলিম নিজ চোখে চাঁদ দেখে থাকেন তাহলে ঈদ পালন করা তো আনন্দের ব্যাপার। তা না হলে ক্বিয়ামতের দিন এর জবাবদিহি কে বা কারা করবে? এছাড়া রাত ১১.২৮ মিনিটে চাঁদ দেখতে পাওয়া একটি অসম্ভব বিষয়।
আল্লাহপাক আমাদেরকে যেন সঠিক পথে চালিত করেন আর আমাদের ভুল/ত্রুটি মার্জনা করে দেন আমীন!!!
অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন