হযরত নিযামুদ্দিন আউলিয়ার জীবনে ঘটে যাওয়া ১টি ইসলামী মজার গল্প নিয়ে আজকের আলোচনা। ১টি ইসলামী মজার গল্প পাঠ করে আমরা জানতে পারব জীবন আসলে কিছুই না। নিযামুদ্দিন আউলিয়ার ১টি ইসলামী মজার গল্প থেকে আমরা একজন আল্লাহভক্ত ওলীর মর্যাদা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাব।
হযরত নিযামুদ্দিন আউলিয়া (র:) এর সঙ্গে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন শত্রুতা ভাব পোষণ করতেন। কারণ হযরতের জনপ্রিয়তার দরুণ সুলতানের ধারণা জন্মেছিল যে, নিযামুদ্দিন আউলিয়া (র:) তাঁর বাদশাহী দখল করে নিতে পারেন। একদিন সুলতান অসুস্থ হয়ে পড়লেন। পেশাব বন্ধ হয়ে গেল। শাহী দরবারের জ্ঞানী-গুনী সকলে মিলে যত রকম তদবীর এবং চিকিৎসা ছিল সবই করলেন কিন্তু পেশাব আসল না। প্রাণ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল।
সুলতানের মা দ্রুত হযরতের খেদমতে ছুটে গেলেন। ভক্তি ও শ্রদ্ধায় বিগলিত হয়ে ক্ষমা চাইলেন এবং নিজের পুত্রের জন্য দোয়ার আবেদন করলেন। হযরত বললেন, যদি সমস্ত বাদশাহী আমার নামে লিখে দেয়া হয় এবং তার উপর যদি রাজ দরবারের সকল পরিষদের দস্তগত থাকে তাহলেই আমি সুলতানের জন্য দোয়া করতে রাজি। অন্যথায় আমি কখনো দোয়া করব না। সুলতান অসুস্থতার দরুণ বড় অসহায় হয়ে পড়েছিলেন এবং তার পেট ফুলে ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
অনলাইনে ফ্রি ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
অত:পর সুলতানের মা সমস্ত বাদশাহী লিখে দেয়া কাগজটি নিয়ে হযরতের খেদমতে পেশ করলেন। হযরত নিযামুদ্দিন আউলিয়া (র:) সেই কাগজগুলো টুকরা টুকরা করে একটি পাত্রে রেখে বললেন, এই পাত্রে তাকে পেশাব করতে বল, পেশাব এসে যাবে। সুলতানের মা তাই করলেন। পেশাব এসে গেল। সুলতান নিষ্কৃতি পেলেন।
তিনি এই আমলের দ্বারা এটাই প্রমাণিত করলেন যে, তার দৃষ্টিতে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বাদশাহীর মূল্য পেশাবে ধরার চেয়ে অধিক মূল্যবান নয়। তাঁর এরূপ আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডের প্রভাবে অসংখ্য অমুসলিম ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
(হুদা, মে ১৯৮৫, পৃষ্ঠা- ৬৭)
দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা শিখতে ভিজিট করুন
আরো মজার মজার ইসলামী শিক্ষামূলক গল্প পেতে চাইলে এখনই ভিজিট করে আসতে পারেন নিচের লিংকে ক্লিক করে।
যোগাযোগ: মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮, nazruld@yahoo.com