জীবনে প্রতিষ্টিত হলে আত্মবিশ্বাস থাকাটা জরুরি। জগতের অধিকাংশ লোক সফল হতে ব্যর্থ হয়ে তার মনোবল বা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আজকের আর্টিকলে আমরা আত্মবিশ্বাসের সাতকাহন নিয়ে কথা বলব। আত্মবিশ্বাসের সাতকাহন আপনাকে ভেঙ্গে পড়া থেকে উঠে আসতে এবং মনোবল চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে।
আত্মবিশ্বাসীরা সফল হয়েই থাকেন
বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী, পদার্থবিদ ও অঙ্কশাস্ত্রবিদ স্যার আইজ্যাক নিউটনের (১৬৪২-১৭২৭) নাম শোনেননি এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তাঁর দীর্ঘদিনের মেধা আর শ্রমের মিশেল অঙ্কশাস্ত্র বিষয়ক গ্রন্থ ‘ক্যালকুলাস’ এর পান্ডুলিপি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল প্রকাশের আগেই। এটি পুনরায় রচনা করতে আবারো দীর্ঘ সাধনা করতে হয়েছিল বিজ্ঞানী নিউটনকে। দুর্ঘটনায় ক্যালকুলাসের পান্ডুলিপি পুড়ে গিয়েছিল কিন্তু বিজ্ঞানী নিউটনের আত্মবিশ্বাস, মেধা আর সাধনাকে পোড়াতে পারেনি ঘটে যাওয়া এই অগ্নিদুর্ঘটনাটি। আর তাই ঠিকই রচিত হয়েছিল অঙ্কশাস্ত্রের পথিকৃৎ বই নিউটনের ‘ক্যালকুলাস’।
বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের (১৮৭৯-১৯৫৫) কথাই ধরা যাক। খুব বেশি উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন না এই অনন্য অসাধারণ জার্মান মানুষটি। কিন্তু আইনস্টাইনের আত্মবিশ্বাসী মেধা বাঁধা পড়েনি একাডেমিক সার্টিফিকেটের কাছে। তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন ‘থিওরী অব রিলেটিভিটি’ বা আপেক্ষিকতার সূত্র। ১৯২১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তির ইতিহাসটিও আইনস্টাইনকেই ঘিরে।
চল্লিশ বছর আগে এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে গিয়ে ফ্রস্ট বাইটে অর্থাৎ প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়ে দু’টো পা হারাতে হয়েছিল শিয়া বোউকে। কিন্তু তারপরও স্বপ্ন পূরণে পিছপা হননি তিনি।৬৯ বছর বয়সী চীনা অধিবাসি শিয়া বোউ কৃত্রিম পায়ে (কাটা পা নিয়ে) ২৯ হাজার ২৯ ফুট উচ্চতা অতিক্রম করে এভারেস্টর চূড়ায় পৌঁছে রেকর্ড গড়তে সক্ষম হন।
এর আগে দুই পা নেই এমন কেউ নেপালের দিক থেকে এভারেস্টর চূড়ায় উঠতে পারেননি। অভিযান শুরুর আগে তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা আমার স্বপ্ন। আমাকে এই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে।
২০০৬ সালে দুই পা হারানো আরেক পর্বতারোহী-নিউজিল্যান্ডের মার্ক ইঙ্গলিস এভারেস্টে উঠেছিলেন তিব্বতের দিক থেকে। সেটাকে অপেক্ষাকৃত সহজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গণমাধ্যম গবেষক ড. রহমান। বেশকটি বই ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। আর প্রকাশিতব্য একটি গবেষণা গ্রন্থের পান্ডুলিপি সংরক্ষণ করা ছিল কম্পিউটারের স্মৃতিতে। এক অশুভক্ষণে ক্রাশ করেছিল কম্পিউটার হার্ডডিঙ্ক। ফলে কম্পিউটারের স্মৃতি থেকে পুনরুদ্ধার করা যায়নি কিছুই। কিন্তু ড. রহমানের ব্যক্তিগত আত্মবিশ্বাস আরো প্রখর করেছে তার স্মৃতি। আবার শুরু হয় গবেষণা। বিষয়ঃ তথ্য অধিকার। এবার আর ভুল করেননি। প্রতিটি বিষয়েরই রেখেছেন হার্ডকপি এবং ম্যানুয়াল ডাটা।
রবিন পাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। গবেষণা করেছেন আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয়টি হলো, রবিনের পা দুটো পোলিও আক্রান্ত হয়ে নিস্ক্রিয় হয়ে গেছে। হাতে আর হাঁটুতে ভর করে চলাফেরা করতে হয় তাকে। পোলিও রবিনের দেহের প্রত্যঙ্গ নিস্ক্রিয় করেছে তাকে কিন্তু মনের গতি কমাতে পারেনি, করতে পারেনি তার স্বপ্নকে বিবর্ণ। কেননা তার আত্মবিশ্বাস তাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থী হবার প্রেরণা যুগিয়েছিল।
দর্শন শাস্ত্রে পড়াশোনা করে স্নাতাকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলাম। আত্মবিশ্বাসী নজরুল ইসলাম জয় করেছেন দৃষ্টিহীনতার মতো প্রতিবন্ধকতাকেও। আসলে মানুষের জীবনে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাইতো বলা হয়ে থাকে “ মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।”
জীবনকে ঘিরে আমাদের কতোই না আয়োজন চলে প্রতি মুহুর্তে। কোনো কোনো আয়োজনে আমরা ঘটা করে যোগ দেই আর কোনোটি প্রাকৃতিক ছকেই হয়ে চলে। সদ্য ভুমিষ্ঠ হওয়া শিশুটি থেকে শুরু করে আজ পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া মানুষটি মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত শামিল থাকেন ‘জীবন আয়োজন’ এর বিভিন্ন অংশে। যেমন- কারো মাধ্যমিক পরীক্ষা তথা জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, কারো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা তারপর উচ্চ শিক্ষার দ্বারে পর্দাপণ। কারো স্নাতক শেষ মানে দেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হবার গৌরব অর্জন।
কারো নতুন চাকুরি তো কারো প্রবাস জীবন শুরু, কারো প্রথম ব্যবসা, কারো পুরনো ব্যবসায় গতিপথ পরিবর্তন, কারো পদোন্নতি, কারো প্রথম প্রেমে পড়া। এরকম হাজারটা বিষয় জড়িয়ে থাকে জীবনের আষ্টেপৃষ্ঠে। বিষয়টা যাই হোক না কেন জীবন চলার পথে সবকিছুর জন্য প্রতি পদক্ষেপে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস।
আত্মবিশ্বাস মানে নিজের ওপর বিশ্বাস, আস্থা এবং কাজের দৃঢ়তা আর অর্জিত জ্ঞানের ব্যবহার। এটি একটি মানসিক প্রক্রিয়া। এতে সামিল রয়েছে ব্যক্তির চর্চা, অনুশীলন ও অধ্যাবসায় যা আত্মবিশ্বাসের প্রক্রিয়াকে দেয় গতি। তাই বলে আত্মবিশ্বাসী মানেই কিন্তু দাম্ভিকতা নয়। বরং তার উল্টো, উদারতা, মুক্তমন, মুক্তচিন্তা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
পরিবারে, সমাজে, শিক্ষাঙ্গণে কিংবা পেশাগত বলয়ে আত্মবিশ্বাসী মানুষ তার নিজের অবস্থানে যথার্থ আচরণ এবং কাজ করার চেষ্টা করেন। যেকোন ক্ষেত্রে অন্যের সঙ্গে নেতিবাচক প্রতিযোগিতা, পরছিদ্র অন্বেষণ কিংবা নিজেকে মহাজ্ঞানী জাহির করা থেকে বিরত থাকেন।
রবি ঠাকুরের ভাষায়-
“কে লইবে মোর কার্য, কহে সন্ধ্যা রবি
শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি
মাটির প্রদীপ ছিল; সে কহিল, স্বামী
আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি।”
আত্মবিশ্বাসী মানুষ নিজের সাধ্যকে শানিত করে, ভালো কিছু অতিক্রম করে আরো ভালো করার অভিপ্রায়ে। সে চেষ্টায় থাকে না পরশ্রীকাতরতা।
তাত্ত্বিকভাবে আত্মবিশ্বাসের সাতকাহন এর প্রধান প্রধান দিকগুলো হচ্ছে-
১. সামাজিক আত্মবিশ্বাস
২. দৈহিক ভাষা
৩. নিজেকে উপস্থাপন
৪. আত্মমর্যাদায় আত্মবিশ্বাস
৫. সমবয়সীদের মাঝে নিজের উপস্থিতি
সামাজিক আত্মবিশ্বাস
কিছু সামাজিক প্রথা, রীতি, আচার-ব্যবহার নিয়েই আমরা বেড়ে উঠি। তবে সমাজে অনেক কুসংস্কার, গোঁড়ামীও থাকে। যেমন- বিদ্যাসাগরের আমলে ছিল সতীদাহ প্রথা। এখন সে রকম না থাকলেও বিদ্যাসাগরের পথ অনুসরণ করার সুযোগটা কিন্তু থাকছেই। আপনি আত্মবিশ্বাসী হলে সামাজিক প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে একটুও পিছিয়ে থাকবেন না। যেমন-হঠাৎ প্রতিবেশী কারো রক্তের প্রয়োজন হলো। যদি চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে আপনি যোগ্য হন তবে আত্মবিশ্বাসী হয়েই অপরের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন। সমমনঙ্ক মানুষদের একটা গ্রুপও তৈরি করে নিতে পারেন। সমাজের কুসংস্কার থেকে ‘কু’ শব্দটি বাদ দিয়ে সংস্কার করে দেবার কাজটিও করতে পারেন আপনারা সকলে মিলে। বিদ্যাসাগরের মতো আপনিও হতে পারেন- বরনীয়, অনুস্বরণীয়। দেখবেন, আপনার আত্মবিশ্বাসে আস্থা রাখবে সমাজের মানুষ।
দৈহিক ভাষা
অনেকেই চালচলনে আত্মবিশ্বাস বিষয়টি বুঝতে ভুল করেন। বিষয়টি খোলাসা করা যাক। বাঁকা হয়ে হাঁটা কিংবা কুঁজো হয়ে বসা কোন শৈলীর মধ্যে পড়ে না। যখন যার সাথে কথা বলবেন তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। মেরুদন্ড সোজা করে হাঁটা, বসা এবং দাঁড়ানোর মধ্যে প্রকাশ পায় আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির দৈহিক ভাষা। দৈহিক ভাষার সঙ্গে পোশাকের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। যে পোশাক এবং অলংকার পরিবেশ এবং আপনার সঙ্গে মানায় না সেটা পরিহার করাই শ্রেয়।
নিজেকে উপস্থাপন
সাবলীলভাবে নিজেকে উপস্থাপনে আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির পার্থক্যটা ধরা পড়ে সহজে। প্রতিদিন নিজেকে সমৃদ্ধ করুন, জানার পরিধি বাড়িয়ে তুলুন। কখনো ভাববেন না আপনার পাশের লোকজন আপনার থেকে কম জানে। বরং নিজের জ্ঞান আরো বৃদ্ধি করা দরকার। যাতে অন্যরা ভাবে আপনি তাদের থেকে বেশি জানেন। নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে মর্যাদা বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আপনার জ্ঞান, প্রতিভা, ব্যবহার, শিক্ষা বা যোগ্যতার স্বীকৃতি অন্যের মুখ থেকে আসা উচিত আপনার কাছ থেকে নয়।
আত্মমর্যাদায় আত্মবিশ্বাস
নিজের ঢাক নিজে পেটালে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায় না। এতে অন্যরা আপনার যোগ্যতায় সন্দিহান হয়ে পড়বে। কারো বাবা সচিব কিংবা মা প্রফেসর তাই সে ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সালাম, নমস্কার পাবে এমনটা মনে ঠাঁই দেয়া উচিত নয়। কারো কাছ থেকে শ্রদ্ধা বা সম্মান পেতে চাইলে আপনার নিজের গুণে গুণান্বিত হওয়া চাই। এতে আত্মবিশ্বাসের মৌলিকতা বজায় থাকে।
সমবয়সীদের মাঝে নিজের উপস্থিতি
অপরের ভালোবাসা, সম্মান পাওয়ার জন্য আপনার পারিবারিক ভিতের চাইতে আপনার ভালোমানুষ হিসেবে ভিতটাই কিন্তু জরুরী। ভালো কাজ, ভালো ইচ্ছার প্রতি দুর্বলতা থাকতে হবে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলা যায়-
“যথাসাধ্য ভালো বলে, ওগো আরো ভালো,
কোন স্বর্গপুরী তুমি করে থাকো আলো?
আরো ভালো কেঁদে কহে, আমি থাকি হায়
অকর্মণ্য দাম্ভিকের অক্ষম ঈর্ষায়।”
আত্মবিশ্বাসী ভালো মানুষের ভালোত্বের দম্ভ থাকে না কখনো।
আত্মবিশ্বাসের সাতকাহন এর আরো কতিপয় বৈশিষ্ট্য
মোহ নয়, জীবনে থাকুক লক্ষ্য
ও ভালো আছে, আমি ভালো নেই, ওর মতো হতে পারলে জীবনটা স্বার্থক হয়ে যেতো- এগুলো আত্মবিশ্বাসহীনতার লক্ষণ। আবারো বিশ্বকবির ভাষায় ফিরে যাই,
“নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস
ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস
নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
কহে, যাহা কিছু সুখ সকলই ওপারে”
নদীর এপার ওপারের মতো মোহ না রেখে নিজের জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা উচিত। বিশ্বাস নিয়ে পরিশ্রম আর চেষ্টায় লক্ষ্যে পৌঁছানো খুব দুরহ ব্যাপার নয়। জীবনে তো চড়াই উৎরাই থাকবেই। হাল ছেড়ে দেয়া চলবে না। তাছাড়া লক্ষ্য অর্জনের পথ সহজ নয় বলেই তো দরকার হয় আত্মবিশ্বাসের। মনে রাখতে হবে আপনার জীবনের বিজয় নিশান আপনাকেই ওড়াতে হবে। অদৃষ্টের ঘাড়ে দোষ চাপালে কোন লাভ নেই। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ সাধারণত অন্যের নিরূপিত মানদন্ডে নিজের সফলতা-ব্যর্থতাকে মূল্যায়ন করে থাকে। সবাই মনে করেন যে, সফলতার শুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী থেকে এবং ভাল একটি চাকরি জোটানোর মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি।
অনলাইনে আর্টিকেল লিখে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করবেন কিভাবে জানতে চাইলে ভিজিট করুন
আমার পরামর্শ হল আপনার দৃষ্টিতে ‘সাফল্য’ আসলে কি? নিজেকে প্রশ্ন করা শুরু করুন। আপনি যা পছন্দ করেন সেরকম কিছু করতে পারলে উচ্চ বেতনের তথাকথিত হাই প্রোফাইল চাকরির পেছনে ছোটার কোন প্রয়োজনই বোধ করবেন না। আপনি যে কোন ধরনের কাজে নিয়োজিত হতে পারেন যদি বিষয়টি আপনার কাছে উপভোগ্য হয়। দক্ষতা ও পছন্দের মধ্যে সমম্বয় ঘটাতে পারলেই হলো। অলসতা পরিহার করে আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনার গন্তব্যে পৌছার কাজে লেগে যান, আশা করি সাফল্য আসবেই আপনার জীবনে। ।
কবিগুরু তো আমাদের পশ্চাতের আমিকে চিনিয়ে বলেছেন-
“অদৃষ্টেরে শুধালাম চিরদিন পিছে
অমোঘ নিষ্ঠুর বলে কে মোরো ঠেলিছে
সে কহিল ফিরে দেখো, দেখিলাম থামি
সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি।”
আত্মবিশ্বাসের সাতকাহন এর কতিপয় টুকাটুকি
আত্মবিশ্বাসের উপসর্গ
১. সোজা হয়ে দাঁড়ানো, বসা, হাঁটা।
২. চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা।
৩. পোশাক এবং দেহের পরিচ্ছন্নতা।
৪. ভালো কাজের আগ্রহ।
৫. নিজের ভুল স্বীকার করা এবং শোধরানোর প্রবণতা।
৬. লক্ষ্য অর্জনে ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা।
৭. কারো কথায় নিজের সিদ্ধান্ত কিংবা প্রস্তুতি পরিবর্তন না করা। তবে অন্যের সমালোচনার বিষয়টিও মাথায় থাকবে।
৮. প্রশংসা শুনে আহ্লাদিত না হওয়া।
আত্মবিশ্বাসহীনতার উপসর্গ
১. কুঁজো হয়ে বসা, কোমর ভেঙ্গে দাঁড়ানো, বাঁকা হয়ে হাঁটা।
২. কারো চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে না পারা। ৩. পা নাচানো।
৪. গালে হাত দিয়ে বসা। দাঁতে নখ কাঁটা (বাজে অভ্যাসও বটে)।
৫. ঘন ঘন চুলে বা দাঁড়িতে হাত দেয়া।
৬. পোশাক এবং দেহের অপরিচ্ছন্নতা।
৭. প্রশংসা শুনে গদগদ হওয়া।
৮. কারো কথায় নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলা।
৯. নিজের ভুল শোধরানোর বদলে ঢাকার প্রাণপণ চেষ্টা। ১০. কথা বলতে শব্দজট পাকিয়ে ফেলা।
আত্মবিশ্বাসের সাতকাহন আলোচনার পরিশেষে বলা যায়, সফলতা অর্জন করতে যেয়ে জীবনের সোনালী সময় তথা বয়স পার করে ৪০ এর বেশি হয়ে গেলেও ঘাবড়ানোর দরকার নেই। ৫০ বছর অতিবাহিত করেও বহু লোক শেষমেশ সাফল্যের দেখা পেয়েছে এরকম হাজারো উদাহরণ রয়েছে এই ধরাধামে। আত্মবিশ্বাসের সাথে লেগে থাকুন আর মটিবেট করুন নিজেকে। কখনো মনের জোর হারাবেন না। এটাই একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির মূলমন্ত্র।
দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা শিখতে ভিজিট করুন
যোগাযোগ
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮