আজব মানুষ আজব দুনিয়া বিষয়ক বহু প্রবন্ধ আপনি পড়ে থাকবেন। আজকের এই লিখনীতে আরো কতিপয় আজব মানুষ আজব দুনিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আজব মানুষ আজব দুনিয়া
ইংরেজিতে বলা হয় Forbidden is attractive. ছোট শিশু যখন হামাগুড়ি দেয়া শেখে, একটু একটু হাটতে শেখে তখন লক্ষ্য করে দেখবেন সে কেবল বিপরীত দিকে চলতে চায়। যে যায়গায় যেতে বা ধরতে থাকে নিষেধ করবেন সে ঐ জায়গায়ই যেতে চায় বা ধরতে চায়। এমন করতে না পারলে সে কেঁদে উঠে। জীবনের শুরু থেকেই এমন দেখা যায়। কোনো মানুষকে জানোয়ার বললে ক্ষেপে যায় কিন্তু বাঘের বাচ্চা বললে সে খুশিই হয়। মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃত ব্যক্তিকে স্বরণ করা হয় আর মোমবাতি নিভিয়ে জন্মদিন পালন করা হয়। আসলে মানুষ সোজা পথে চলতে চায় না। বাকা পথে চলতে সবারই আগ্রহ। একটি টিপের দাম মাত্র এক টাকা তথাপি এটার স্থান কপালে আর একটি নুপুরের দাম হাজার টাকা কিন্তু তার স্থান পায়ে। নুনে কখনো পোকা ধরে না কিন্তু মিষ্টিতে তো প্রতিদিনই ধরে, পিঁপড়াও ছাড়ে না। একজন দুধ বিক্রেতাকে বাজারে যেতে হয়, মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হয় তা বিক্রি করার জন্য কিন্তু মদ বিক্রেতাকে বাজারে যেতে হয় না। আমরা দুধ বিক্রেতাকে সব সময় জিজ্ঞেস করি দুধে পানি মেশাননি তো? অথচ মদে মানুষ নিজেরাই পানি মিশিয়ে খায়। এ প্রসঙ্গে একটি কৌতুক মনে পড়ছে।
এক ভিক্ষুক মসজিদের পাশে সারাদিন ভিক্ষা করে নাস্তার পয়সাও জোগাড় করতে পারল না। তাই পরের দিন সে মন্দিরে গিয়ে ভিক্ষা করল কিন্তু এখানেও একই অবস্থা। পরের দিন সে একটি গীর্জায় গেল কিন্তু ফলাফল একই। শেষে একটি চার্চে গিয়ে সারা দিনই সে ভিক্ষা করল আর ফল দাড়াল একই।
সে নিরূপায় হয়ে পরের দিন একটি মদের দোকানের পাশে গিয়ে ভিক্ষা করতে বসল আর দিন শেষে টাকা গুনে সে তো রীতিমতো অবাক। আজকে তার এক মাসের রোজগার একদিনেই হয়ে গেছে। তখন সে বলে উঠল-
‘প্রভূ! তুমি ঠিকানা দিয়েছ এক জায়গার আর বসে আছ আরেক জায়গায়। আমিতো এটা জানতাম না।’ আমি মনে করতাম তুমি মসজিদ-মন্দিরে থাক।
জীবন চলার পথে, বিচিত্র চরিত্রের বহু মানুষের সাথে সখ্যতা রেখে পথ চলতে হয়। আমরা জানি, হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান নয় কিন্তু সাথে নিয়ে চলতে হয় ঠিক তেমনি চারপাশের এই মানুষগুলোও এক এক জন এক এক মন-মেজাজ-স্বভাবের। কেউ একটু বেশি রাগি, কেউ নরম স্বভাবের, কেউ ঝগড়াটে, কেউ জগড়া থেকে মুক্ত, কেউ বেশি কথা বলে, কেউ কম কথা বলে, কেউ স্বার্থপর, কেউ উদার প্রকৃতির সেবক, কেউ ধনী, কেউ গরীব। এই বিচিত্র চিত্রের স্বভাবগুলোর সাথে মানিয়ে চলা কিন্তু মুড়ির মোয়া খাওয়ার মতো এতো সহজ কাজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন, সবার আগে নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।
অনলাইনে ফ্রি ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
ভাল মানুষের বৈশিষ্ট্য
সত্য কথা বলা
ভাল মানুষ কখনো মিথ্যা বলেন না। এমনকি মজা করেও মিথ্যার আশ্রয় নেন না। ডিপ্লোমেটিক ওয়েতে সত্যকে আড়াল করেও মিথ্যা কথা বলেন না। একবার আমার এক বন্ধুর কাছে একটি লোক ৫০০ টাকা ধার চাইল। ধারকারী লোকটি ভাল ছিল না। ধার দিলে ঐ টাকা ফেরত না আশাটা শতভাগ নিশ্চিত। তখন আমার বন্ধু লোকটিকে জবাবে বলল, আমার হাতে একটি টাকাও নেই। দয়া করে কিছু মনে করিছ না। আমি বন্ধুকে বললাম, তুই মিথ্যে কথা বললে কেন? তোর কাছে তো টাকা ছিল। বন্ধু বলল, টাকাতো আমার পকেটে ছিল হাতে না। আমি তো মিথ্যা বলিনি। আমার এই বিষয়টিতে একটু খটকা লাগল। তাই আমি ক্লাসে মুহাদ্দিস সাব হুজুরকে জিজ্ঞসে কললাম। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, এই কথাটি প্রকাশ্য ধোকাবাজি ছাড়া কিছুই না। এখানে হাতে টাকা নেই বলার মূল অর্থ দাড়াবে- আমার অধীনে, আমার কাছে কোনো টাকা-পয়সা নেই। যেমন আমরা বলি
(চলবে)