মহান আল্লাহর অশেষ কুদরতের বর্ণনা দিয়ে শেষ করার মতো নহে। আল্লাহর কুদরতের নমুনা সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। চোখ কান খুলে আমরা যদি আমাদের চারিদিকে তাকাই তাহলে সর্বত্রই আল্লাহর কুদরতের নমুনা লক্ষ্য করতে পারবো। নিচের ভিডিওটি দেখুন আর চিন্তা করুন।
ফেরাউন তার রাজত্ব ও প্রভুত্ব রক্ষা করার লক্ষ্যে বনি ইসরাঈলের সব নবজাতক শিশুকে হত্যার জঘন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ মহা হত্যাযজ্ঞের মাঝেও আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও হজরত হারুন আলাইহি সালামকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যা আল্লাহর কুদরতের নমুনা এর মহা নিদর্শন।
হজরত ওহাব ইবনে মোনাব্বিহ (রহ) উল্লেখ করেন, আমার নিকট এ বিবরণ পৌঁছেছে যে, ফেরাউন (হজরত মুসা আলাইহিস সালামের আগমনের ভয়ে) বনি ইসরাঈলের ৯০ হাজার শিশুকে হত্যা করেছিল। আর মহামারীর কারণেও অনেক বয়স্ক লোকের মৃত্যু হয়।
মানুষের মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার ফলে নেতৃত্বস্থানীয় কিবতী সম্প্রদায়ের লোকেরা অস্থির হয়ে উঠে এ আশংকায় যে, পরিশ্রম ও কাজের সব দায়-দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পিত হবে। তাই তারা ফেরাউনের কাছে আবেদন করল যে, বনি ইসরাঈলদের শিশুদের হত্যা বন্ধ করা হোক।
কিবতীদের দাবি অনুযায়ী ফেরাউন নতুন করে ফরমান জারি করল যে, এক বছর বিরতি দিয়ে বনি ইসরাঈলের শিশুদের হত্যা করা হবে।
মহান আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতের নিদর্শন হলো- যে বছর শিশু হত্যা বন্ধ ছিল সে বছর জন্ম নিলেন হজরত হারুন আলাইহিস সালাম।
আর যে বছর শিশু হত্যা জারি ছিল সে বছর, জন্ম নিলেন হজরত মুসা আলাইহিস সালাম। অথচ আল্লাহ তাআলা হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে হেফাজত করলেন।
শুধু তাই নয়, ফেরাউনের ঘরেই হজরত মুসা আলাইহি সালামের লালন–পালনের ব্যবস্থা করলেন। আল্লাহ তাআলা ফেরাউনের পতন ঘটাতে এবং দুনিয়াতে তাঁর তাওহিদের প্রচার, প্রসার এবং বাস্তবায়নের জন্যই সন্তান হত্যার বছর হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।
মহান আল্লাহ তা’য়ালা চাইলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন। কথায় বলে রাখে আল্লাহ মারে কে?
এভাবে আল্লাহর কুদরতের নমুনা আমরা যুগে যুগে দেখতে পাই। আল্লাহপাক নমরূদের অগ্নিকুন্ড হতে হযরত ইব্রাহিম (আ) কে বাঁচিয়েছেন। ইউসূফ (আ) কে ৭০ গজ কূয়ার নিচ থেকে রক্ষা করেছেন।
সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করার বিভিন্ন পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন
তথ্যসূত্র: ইন্টানেট থেকে